বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে তারুণ্যের ১১ দফা ইশতেহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত তরুণ প্রতিনিধিরা। গতকাল ঢাকায় ‘ইয়ুথ ফর পলিসি’ আয়োজিত ‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশ: তারুণ্যের ইশতেহার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবি তুলে ধরেন।

এ আলোচনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ প্রতিনিধিরা মুক্তচিন্তা সহায়ক শিক্ষাক্রম সংস্কার, বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার, দুর্নীতির পালাবদল প্রতিহত করা, বাকস্বাধীনতা, তরুণ উদ্যোক্তাবান্ধব ব্যাংক খাত ও আন্দোলনকারী ছাত্রদের সুচিকিৎসাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

আলোচনা থেকে উঠে আসা মূল ইস্যুগুলো নিয়ে তারা ১১ দফার একটি ইশতেহার প্রণয়ন করেছেন। এ ইশতেহার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়কদের প্রতিনিধি, জাতীয় নাগরিক কমিটি, জাতীয় লিয়াজোঁ কমিটির প্রতিনিধি এবং অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণ টাস্কফোর্সের প্রতিনিধিদের কাছে উপস্থাপন করা হয়।

তরুণদের উত্থাপিত ১১ দফা দাবি: চিন্তাশীল ও ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত প্রজন্ম গড়তে অবিলম্বে পাঠ্যক্রম সংস্কারের রূপরেখা চাই; বৈষম্যহীন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে শিক্ষা ও চাকুরি কোটার সংস্কার চাই; দুর্নীতির দুষ্টচক্রে রাজনৈতিক ও দলীয় পালাবদল নয়, চাই এর স্থায়ী অবসান; মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল চাই; দুর্নীতিবান্ধব ব্যাংক সংস্কার করে তরুণ উদ্যোক্তাবান্ধব ব্যাংক ব্যবস্থা চাই; জলবায়ুবান্ধব অর্থনীতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর আইনগত নজরদারি চাই; জননীতি তরুণদের অংশগ্রহণের স্থায়ী বন্দোবস্ত চাই; ইন্টারনেট ব্যবহারের সমান সুযোগ ও নিবর্তনমূলক নিয়ন্ত্রণ রোধের নিশ্চয়তা চাই; দুর্নীতিমুক্ত ও বিকেন্দ্রীকৃত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার নিশ্চয়তা চাই; রাষ্ট্রের তিন বিভাগের ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন বিচার বিভাগের সাংবিধানিক রূপরেখা চাই ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাজেটে বিশেষ বিবেচনায় অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন