কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে
পদ্মা নদীর ভাঙনে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রায় ২০০ একর জমি ভারতীয় অংশে বিলীন হয়ে গেছে। সেই জমি একটি যথাযথ জরিপ করে ফিরিয়ে
দেবে ভারত। গতকাল অনুষ্ঠিত
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সৌজন্য বৈঠকে আলোচনায় এ কথা
বলেছেন বিএসএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে
তার আগে বিবদমান জমির প্রকৃত মালিকদের চিহ্নিত করার বিষয় উঠে এসেছে বৈঠকে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশের (বিজিবি) ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক
লে. কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘বিবদমান জমি পুনরায় জরিপ
করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
বিবদমান জমিগুলো ভারত সীমান্তে
দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীঘেঁষা চল্লিশপাড়া এলাকায় রয়েছে বলে
জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ভাঙনে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে চল্লিশপাড়া বর্ডার আউট পোস্টের
(বিওপি) পিলার ১৫৭/এমপি থেকে
৮৫/১০-এস এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার
সীমানা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ একর জমি এবং বাংলাদেশের
অভ্যন্তরে ভারতের আনুমানিক ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া যায়।
গতকাল দুপুরে বিএসএফের আহ্বানে
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুণ্ডির জামালপুর বিওপির সীমান্ত পিলার
১৫২/৭-এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে
দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়া
বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান
এবং বিএসএফের পক্ষে রওশনবাগ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং নেতৃত্ব দেন।
লে. কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান
বলেন,
‘আগামী অক্টোবরে সুবিধাজনক সময়ে উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে পুনরায় জরিপ করে জমির প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর
করতে ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘মূলত সীমান্তের
বিবদমান অংশটি নদী এলাকায়। পদ্মার ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের
কারণে দুই দেশের সঠিক সীমানা নির্ধারণে জটিলতা ছিল। দুই দেশের প্রচেষ্টায় তা সমাধানে
সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দ্রুত সঠিক সীমানা নির্ধারণ
করা হবে। তবে জমি বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত
কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে না।’