বৈরী আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহে বিঘ্ন, তিন এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালীতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ কমে গেছে। এতে কর্ণফুলী গ্যাস, বাখরাবাদ গ্যাস ও তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানি এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতি আজ সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা নাগাদ স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।

পেট্রোবাংলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মহেশখালীস্থ ভাসমান টার্মিনাল থেকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এলএনজি সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এর ফলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল), চট্টগ্রাম বাখরাবাদ গ্যাস এবং তিতাস গ্যাস বিতরণ এলাকায় গ্যাসের চাপ কম রয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য পেট্রোবাংলা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

মহেশখালীতে ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ সক্ষমতার দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। একটি সামিট গ্রুপ এবং অন্যটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট পরিচালনা করছে। ঘূর্ণিঝড় রিমেলের কারণে সামিটের টার্মিনালটি গত ২৭ মে থেকে বন্ধ ছিল। দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পর এটি সচল হলেও কার্গো সংকটের কারণে এলএনজি সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে এই টার্মিনাল দিয়ে কী পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে তা জানা যায়নি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি। তবে গ্যাস সরবরাহ কমার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা।


আরপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, ‌বৈরী আবহাওয়ার কারণে গ্রিডে এলএনজি কমে গেছে। সন্ধ্যা নাগাদ গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশা করছি। বর্তমানে একটি এলএনজি দিয়ে এলএনজি সরবরাহ হচ্ছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন