চট্টগ্রামে
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির বাজেট তৈরি করলেও এখনো সংস্কারকাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। মূলত ব্যাংক খাতের স্থবিরতা, অর্থ বরাদ্দে ধীরগতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোর সংস্কারকাজ বিলম্বিত হচ্ছে। তাছাড়া বন্যার পর অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের
ফলে স্থায়ী মেরামতকাজ শুরু করতেও বিলম্ব হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামত না হওয়ায় মানুষের
দৈনন্দিন কাজ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড
বিঘ্নিত হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
চট্টগ্রাম সিটি রপোরেশনের (চসিক) দেয়া তথ্যে জানা গেছে, বন্যা ও ভারি বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম নগরীর ৫২টি অভ্যন্তরীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই অবস্থা সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগেরও। বন্যা ও অতি বৃষ্টিপাতে সওজের ৩৯ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলজিইডির সড়ক। দপ্তরটির অধীনে থাকা দেড় হাজার কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৬৭২ কিলোমিটারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জানতে চাইলে সওজ চট্টগ্রাম সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেম উদ্দিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামতে তালিকা করা হয়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলো নিয়মিত কাজের সঙ্গে মেরামত করা হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো স্থায়ীভাবে মেরামত ও আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতে বাজেট বরাদ্দের পর কাজ শুরু করে এক বছর লাগবে।’