সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর সামিটের
ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল আবার চালু হয়েছে। তবে পেট্রোবাংলার পর্যাপ্ত তরলীকৃত
প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) মজুদ না থাকায় এখনই পূর্ণ মাত্রায় গ্যাস সরবরাহ করা
সম্ভব হচ্ছে না।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) পেট্রোবাংলার
পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মো. কামরুজ্জামান খান বণিক বার্তাকে বলেন, সামিটের
এলএনজি টার্মিনাল চালু করা হয়েছে। তবে এখনই পূর্ণ মাত্রায় গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে
না। টার্মিনালের রিজার্ভে যতটুকু মজুদ রয়েছে তা দিয়ে সীমিত আকারে তিন থেকে চারদিন চালানো
হবে।
প্রসঙ্গত, কারিগরি ত্রুটির কারণে গত ২৭ মে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষামূলক কাজের বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) তা শেষ হয়েছে। গ্যাস সংকট মোকাবেলায় অন্তর্বর্তী সরকার ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টার্মিনাল চালুর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তবে তার আগেই টার্মিনালটি চালু করা সম্ভব হয়েছে।
মহেশখালীতে ভাসমান দুটি এলএনজি টার্মিনাল চালু থাকলে সর্বোচ্চ ১১শ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ দিতে পারে পেট্রোবাংলা। এর একটির সক্ষমতা ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট, আরেকটির ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এর একটি পরিচালনা করছে সামিট গ্রুপ। অন্যটি মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি। বর্তমানে এক্সিলারেটের এলএনজি টার্মিনাল দিয়ে ৫৫৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়।