ইপিবির তথ্যে ভুল নেই: সালমান এফ রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি— বণিক বার্তা।

দেশের রফতানি আয় নিয়ে বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে ভুল নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেছেন. ‘আমরা দুইভাবে এক্সপোর্ট করি। এর একটি হচ্ছে ব্যাংক টু ব্যাংক এলসি। প্রথমে আমরা কাপড় ও সুতো টাকা দিয়ে ইমপোর্ট করি তারপর এক্সপোর্ট করি। এখানে পুরো ভ্যালু এক্সপোর্ট হিসেবে ধরা হয়। আবার আরেকটি হচ্ছে, কাপড় ও সুতো বিনামূল্যে বায়াররা পাঠিয়ে দেয়। যখন এক্সপোর্ট হয়, বায়াররা শুধু আমাদেরকে সিএমটি (কস্ট অ্যান্ড মেকিং চার্জ) পেমেন্ট করে। কিন্তু ইপিবি এখানে ফুল এক্সপোর্ট ভ্যালুটা দেখিয়েছে। আমি মনে করি ইপিবি ভুল করেনি।' 

রোববার ( ৭ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রফতানি আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির কাছ থেকে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। সম্প্রতি হিসাব পদ্ধতি সংশোধন করে রফতানি আয় থেকে ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৩৮০ কোটি ডলার বাদ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ বিষয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, আমি সুতা আর কাপড় বিনামূল্যে পেয়েছি নাকি কিনেছি সেটা মূল বিষয় নয়। সেখানে যে সমস্যা হলো ইপিবি যখন পুরো মূল্য দেখায় কিন্তু আসলে আমি শুধু সিএমটি পাই তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়। তাদের মধ্যে অ্যাডজাসমেন্ট করতে হবে। ইপিবির যেটা ভুল হয়েছে, ইপিজেড থেকে যে রফতানি হয়, তা একবার হিসাবে ধরা হয় আবার যখন গার্মেন্টস থেকে রফতানি হয় সেটা আবার ধরা হয়। এখানে ডাবল হিসাব হয়। সেটা তারা এবার ঠিক করে দিয়েছেন। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোন সমস্যা হবে না।

হামীম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও আইসিসি'র ভাইস প্রেসিডেন্ট একে আজাদ বলেন, আমাদের হিসাবের সঙ্গে সবসময় ইপিবির একটা দূরত্ব থেকে যায়। ইপিবির হিসাব কারেক্ট করা উচিত। সবসময় কাস্টমস এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে যদি তথ্য প্রকাশ করে তাহলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমি অনেক বছর ধরে বলছি তাদের তথ্যে ভুল আছে। কিন্তু সেটা আমলে না নিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। এখনও তখনো আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যকেই প্রাধান্য দিয়েছি, দিচ্ছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন