বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০-২২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে— পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি— বণিক বার্তা।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ২০ থেকে ২২টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ রোববার (৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, চীনের মাননীয় প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮-১১ জুলাই চীনে সরকারি সফর করবেন। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরকালে অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, অন্যান্য সচিববৃন্দসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা তার সফরসঙ্গী হবেন।

আগামী ৯ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিন তিনি সাং-গ্রি-লা সার্কেলে অনুষ্ঠেয় একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনটিতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল চীন সফর করবে ওইদিন দুপুরে রাতে তিনি বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত নৈশভোজে অংশগ্রহণ করবেন।

১০ জুলাই সফরের তৃতীয় দিনে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াংয়ে সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সাক্ষাতের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। একই স্থানে প্রধানমন্ত্রী এবং চীনের প্রিমিয়ার অব দ্য স্টেট কাউন্সিল দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর দুই দেশের সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেয়া হবে। অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ৬ষ্ঠ ও ৯ম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রফতানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে আয়োজিত ব্যংকুয়েটের (ভোজের) মাধ্যমে গ্রেট হলে উল্লিখিত সাক্ষাতের আনুষ্ঠিকতা সম্পন্ন হবে।

১০ জুলাই বিকেলে প্রধানমন্ত্রী গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।

পরদিন ১১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রী চীন ত্যাগ করবেন। দুপুর ২টায় তার ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন