ফোর্বসের অনূর্ধ্ব-৩০ সফল এশীয় উদ্যোক্তার তালিকায় ৯ বাংলাদেশী

বণিক বার্তা অনলাইন

সংগৃহীত

এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারীর (চেঞ্জমেকার) ২০২৪ সালের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস। তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ৯ বাংলাদেশী। মূলত নতুন উদ্ভাবন ও পরিবর্তন আনার জন্যই তাদের তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। মোট ১০টি ক্যাটাগরিতে এ ৩০০ জনকে স্থান দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ৩০ জন।

ফোর্বসের এ উদ্ভাবনী তরুণদের মধ্যে জায়গা করে নেয়া বাংলাদেশীদের মধ্যে রয়েছেন আনুশা আলমগীর। তিনি আর্ট ক্যাটাগরি থেকে এ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। লন্ডনের রয়্যাল কলেজ অব আর্ট থেকে স্থাপত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন আনুশা আলমগীর। ২০২৩ সালে ভেনিস বিয়েন্নালে ১৮তম আন্তর্জাতিক স্থাপত্য প্রদর্শনীতে একমাত্র বাংলাদেশি নারী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

কনজিউমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছেন মেহেদী স্মরণ। তিনি হ্যালোটাস্কের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। হ্যালোটাস্ক এমন একটি অ্যাপ, যা গৃহকর্মীদের নিয়ে কাজ করে। সংস্থাটি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিনিয়োগ পেয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাংক ও অক্সফামের অনুদানও পেয়েছে। তাদের লক্ষ্য হলো ২০২৫ সালের মধ্যে ১ লাখ গৃহকর্মীকে তাদের প্লাটফর্মে অন্তর্ভুক্ত করা ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করা।

মিডিয়া, মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের রেদোয়ান আহমেদ। তিনি একজন পুরস্কার বিজয়ী ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। রোহিঙ্গা সংকট ও পোশাক কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে করা প্রতিবেদন তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে অন্যতম। রেদোয়ান আহমেদ স্থানীয় সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য কাজ করা বাংলাদেশী জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

তাছাড়া ফিন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম, আব্দুল গাফফার সাদী ও মো. তুষার। তারা দ্রুতলোন নামের ফিনটেক প্ল্যাটফর্ম বেশ বড় পরিসরে সেবা নিয়ে এসেছে। যার মধ্যে আছে স্থানীয় এমএসএমই (অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি) প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঋণ পাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করে আনা।দ্রুতলোনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ হলো- তাদের সেবা গ্রহণ করতে বারবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যার ফলে ব্যবসার জন্য ঋণ নেয়া আরো সহজ হবে এবং দেশের সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নে তারা আরও অবদান রাখতে পারবেন।

এ ক্যাটাগরিতে আরো জায়গা করে নিয়েছেন জাতিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সুলতান মনি এবং মুমতাহিনা আনিকা। জাতিক ছোট কোম্পানিগুলোকে অ্যাকাউন্টিং পরিচালনা করতে সাহায্য করার জন্য সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার সমাধান প্রদান করে। কোম্পানিটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করে। গত আগস্টে 'জাতিক' ১৬ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ করেছে।

উইন্ড ডট অ্যাপ’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফাহাদ আহমেদও ফাইন্যান্স অ্যান্ড ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ক্যাটাগরিতে ফোর্বেসের এ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। উইন্ড ডট অ্যাপ দ্রুত এবং খুবই কম খরচে ক্রস-বর্ডার রেমিট্যান্স সুবিধা দেয়। স্টার্ট-আপটি ৩৮ লাখ ডলার তহবিল পেয়েছে। এর আগে, ফাহাদ আহমেদ কাজ করেছেন ‘পাঠাও’-এ। তিনি পাঠাও-এর প্রতিষ্ঠাতা দলের একজন ছিলেন এবং সেখানে তিনি বিভিন্ন পরিষেবা চালু করেছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন