প্রথম প্রান্তিক

প্রত্যাশার চেয়ে আয় কমেছে এক্সনমবিলের

বণিক বার্তা ডেস্ক

এক্সনের আর্থিক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারে ছবি: এপি

প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজারে মূল্যহ্রাস ও পরিশোধন-পরবর্তী আয় কমার প্রতিফলন দেখা গেল জ্বালানি জায়ান্ট এক্সনমবিলের আর্থিক প্রতিবেদনে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক কোম্পানিটি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আয় ও মুনাফায় বড় পতন দেখেছে। খবর সিএনবিসি।

এ প্রান্তিকে মার্কিন বৃহৎ জ্বালানি তেল কোম্পানিটির নিট আয় হয়েছে ৮২২ কোটি ডলার, শেয়ারপ্রতি দাঁড়িয়েছে ২ ডলার ৬ সেন্টে। ২০২৩ সালের আগের একই প্রান্তিকে নিট আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৪৩ কোটি ডলার, শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২ ডলার ৭৯ সেন্ট। এ হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সর্বশেষ তিন মাসে আয় হ্রাসের হার ২৮ শতাংশ।

অবশ্য সামগ্রিক আয়ের হিসাবে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপের (এলএসইজি) পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে এক্সন আয় করেছে ৮ হাজার ৩০৮ কোটি ডলার। অন্যদিকে এলএসইজির পূর্বাভাস ছিল ৭ হাজার ৮৩৫ কোটি ডলার। কিন্তু ২০২৩ সালের একই প্রান্তিকের তুলনায় আয় কমেছে প্রায় ৩৫০ কোটি ডলার, ওই সময় এক্সন আয় করেছিল ৮ হাজার ৬৫৬ কোটি ডলার।

আর্থিক প্রতিবেদনে এক্সন মবিল জানায়, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম কমার প্রভাব পড়েছে মুনাফায়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ৬৪৬ কোটি ডলার মুনাফার তুলনায় জ্বালানি তেল ও গ্যাস উৎপাদনে গত প্রান্তিকে মুনাফা ১২ শতাংশ কমে ৫৬৭ কোটি ডলার হয়েছে।

মার্চে শেষ হওয়া প্রান্তিকে এক্সন প্রতিদিন ৩৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যারেল জ্বালানি তেল উৎপাদন করেছে, যা এক বছর আগের একই সময়ের ৩৮ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল থেকে সামান্য কম।

কম পরিশোধন মার্জিনের কারণে এক্সনের জ্বালানি ব্যবসার আয় ৬৭ শতাংশ কমে গেছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এ বাবদ আয় হয়েছে ১৩৮ কোটি ডলার। অন্যদিকে ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাস আয় হয়েছিল ৪১৮ কোটি ডলার।

তবে কোম্পানির রাসায়নিক পণ্য খাত উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের ৩৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের তুলনায় ২০২৪ সালের একই সময়ে দ্বিগুণের বেশি অর্থাৎ ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার মুনাফা করেছে।

এক্সনের আর্থিক প্রতিবেদনের প্রভাব পড়ছে শেয়ারবাজারে। গতকাল বাজার খোলার আগে শেয়ারদরের ২ দশমিক ৭ শতাংশ পতন ঘটে।

এক্সন সম্প্রতি হেস করপোরেশনের অধিগ্রহণ নিয়ে শেভরনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়েছে। যৌথ অপারেটিং চুক্তির অধীনে গায়ানায় হেসের সম্পদের ওপর অধিকার প্রতিষ্ঠায় আদালতে যায় এক্সন। তবে গতকাল শেভরন জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যেই হেস অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন