সময়ের ভাবনা

মেধা পাচার রোধ ও উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়

তানজিলা আমির

উন্নয়নশীল দেশের জন্য ব্রেন ড্রেন বা মেধা পাচার নতুন বিষয় নয়। উন্নত জ্ঞান, দক্ষতা এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের আধুনিক শিক্ষা, উন্নত জীবনযাত্রার মান এবং আর্থসামাজিক নিরাপত্তার জন্য অন্য দেশে স্থানান্তরিত হওয়াকে ব্রেন ড্রেন বলে। অতীতে যখন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এতটা সবল ছিল না, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারও কম ছিল তখন ব্রেন ড্রেনকে এত আমলে নেয়া হতো না, বরং স্বাভাবিকভাবেই দেখা হতো। অথচ বর্তমানে জিডিপি থেকে শুরু করে অর্থনীতির বিভিন্ন শাখায় উন্নতির দেখা মিললেও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উন্নত দেশে পাড়ি জমানো ও দেশ ছেড়ে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করাটা আমরা আটকাতে পারিনি। মেধাবী শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য বিদেশ গমনে আমার কোনো অভিযোগ নেই, কিন্তু তাদের দেশে না ফেরাটা উদ্বেগজনক। কারণ তারা না ফিরলে দেশের উন্নতিতে ও আধুনিকায়নে ভূমিকা রাখবে কারা? 

ইউনেস্কো রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সাল পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৩৩৮ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ ছেড়েছে, ২০১৫ সালে যার সংখ্যা ছিল ২৪ হাজার ১১২। বলা বাহুল্য, অতীতের তুলনায় বর্তমানে ব্রেন ড্রেন স্রোত না কমে উল্টো বেড়েই চলেছে। সমস্যা কোথায় এবং এর থেকে পরিত্রাণের উপায় এখনই খুঁজে না পেলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জ্ঞানশূন্য মেধাহীন, শুধু কায়িক শ্রমিকনির্ভর দেশে পরিণত হতে পারে, যা একটি দেশের জন্য মোটেও স্বস্তিজনক নয়। অনেকেই হয়তো বলবেন রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কথা, কিন্তু মেধা ও বুদ্ধির অভাব টাকা দিয়ে আদতে পুষিয়ে নেয়া যায় কি? দেশ থেকে এ বিপুলসংখ্যক মেধাবী জনসংখ্যার অন্য দেশে পাড়ি জমানোর কিছু কারণ আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। 

দেশে প্রাথমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার হার। ইউজিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৩টি পাবলিক ও ১১২টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে বর্তমানে দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তাছাড়া দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বর্তমানে ৬০টির বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি ও কলেজ রয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের মোট আসন সংখ্যা ৫০ হাজারেরও বেশি। প্রতি বছর সাত হাজার গ্র্যাজুয়েট পাচ্ছি বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম থেকে এবং বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৫৪ হাজার ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। অথচ বাংলাদেশের যেকোনো ছোট-বড় প্রজেক্টের জন্য ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়া হয় চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ইতালিসহ অন্যান্য দেশ থেকে; নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় জাপান অথবা চীন। তাহলে কেন আমরা এ চীন বা জাপান হয়ে উঠতে পারছি না অথবা ওদের মতো হওয়ার চেষ্টা করছি না?

শিক্ষার হার বাড়ানো বা শিক্ষিত জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়া মানেই যে শিক্ষার গুণগত মান বেড়েছে তা কিন্তু বলা যাবে না। শিক্ষা ব্যবস্থার কতটা উন্নতি হয়েছে বা কতটা পরিবর্তন হয়েছে সেটা দেখে বুঝতে হবে যে আসলে শিক্ষার মানের কতটা উৎকর্ষ সাধন হয়েছে, দেশের উন্নয়নে এ শিক্ষিত জনসংখ্যা কতটা অবদান রাখতে পারছে। আমার মতে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে ঠিকই, তবে তা যুগোপযোগী হয়নি। এখনো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বইভিত্তিক মুখস্থনির্ভর পড়াশোনা ও পরীক্ষার খাতায় সেসব লেখালেখিতে আটকে আছে। তাছাড়া হাতে-কলমে কাজের প্রশিক্ষণ সুযোগের স্বল্পতা ও ব্যবহারিক শিক্ষা পদ্ধতির যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে না বলে আমি মনে করি। আমার মতে, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে শিক্ষা ব্যবস্থার যে সংস্কার দরকার ছিল তা আমরা করতে পারিনি। বিশেষ করে প্রকৌশলবিদ্যা ও মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থায় যতটা আধুনিক হওয়ার কথা ছিল সেখানে আমরা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছি। ফলাফল দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি মানুষ আস্থা হারাচ্ছে, মাধ্যমিক অথবা স্নাতক পর্যন্ত দেশীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেছে নিলেও উচ্চশিক্ষার ওপর তাদের আস্থা নেই। তাই পাড়ি জমাচ্ছে দেশের বাইরে।

উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিকেলের মেধাবী শিক্ষার্থীরা। কারণ মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে শিক্ষা ব্যবস্থায় আশানুরূপ পরিবর্তন এবং এর আধুনিকায়ন আমরা ঘটাতে পারিনি। মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং এমন এক ক্ষেত্র, যেখানে উন্নত প্রশিক্ষণ এবং আধুনিক প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অথচ আমাদের দেশে এখনো এসবের তেমন সংস্কার ও উন্নতি ঘটেনি। ফলে একটি দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ক্ষেত্র স্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের আমরা প্রতিনিয়ত হারাচ্ছি। যাদের এ সামান্য পারিবারিক সমর্থন ও আর্থিক সচ্ছলতা আছে, তারা কোনোভাবে স্নাতক পাস করে পাড়ি জমাচ্ছে ভিনদেশে।

দেশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানিতে শুধু বিদেশি ডিগ্রি আছে এমন প্রার্থীদের প্রাধান্য। ফলে যারা একসময় দেশে থাকতে চাইতেন, চাকরির বাজার ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এমন বৈষম্য দেখে তারাও বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। দেশের প্রধান প্রধান উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বাংলাদেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে মুখস্থ বিদ্যানির্ভর পরীক্ষা পদ্ধতি চালু রয়েছে, যা এ আধুনিক যুগে মোটেও মানানসই নয়। প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৬৩ শতাংশ কম শিক্ষক দিয়ে চলছে আমাদের মেডিকেল শিক্ষাদান। বেশির ভাগ মেডিকেল কলেজে ল্যাবরেটরি, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ইত্যাদিরও ঘাটতি রয়েছে। মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বাড়ানোর আগে নিশ্চিত করতে হবে যে যারা চিকিৎসকের ডিগ্রি পাচ্ছেন, তারা মানসম্পন্ন মেডিকেল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ পেয়েই ডিগ্রিটা পাচ্ছেন। নইলে এ ব্যবস্থায় নামমাত্র মেডিকেল শিক্ষা ও ডাক্তার উভয়ই বিপজ্জনক। 

দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির চাকা অনেক এগিয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, রফতানি বেড়েছে, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সবদিকে সফলতা অর্জন করেছে। আশা করা হচ্ছে, ২০৩১ সালের মধ্যে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ থেকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হব এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উচ্চ আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করব। অথচ মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষার জন্য এখনো আমরা অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল। তাহলে আমার প্রশ্ন, এই যে বলা হচ্ছে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে একই কাতারে শামিল হব, কিন্তু এ উন্নতিটা হবে কীভাবে? একদিকে বাড়ছে মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়ার মিছিল, অন্যদিকে বলা হচ্ছে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হব, কিন্তু কথা হচ্ছে উন্নতিটা করবে কারা? যারা ভবিষ্যতে দেশ গড়বেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাল ধরবেন তারাই তো দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এ দেশে জন্মেছে, এ মাটিতে খেয়ে-পরে বড় হয়েছে, গ্র্যাজুয়েশন করছে, কিন্তু বিদেশে উন্নত ও মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চশিক্ষিত হতে গিয়ে সেখানেই থেকে যাচ্ছে এবং নিজের মেধাকে সেই দেশের উন্নয়নে বিলিয়ে দিচ্ছেন, এ যেন ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো!

গুণগত মানের উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে গেলেই যে সেটা খারাপ ব্যাপারটা তেমনও নয়, বরং বিদেশে উচ্চশিক্ষাপ্রাপ্ত, প্রশিক্ষিত বা সেখানে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন কোনো ব্যক্তি যদি তার নিজ দেশে ফিরে এসে বিনিয়োগে আগ্রহী হন, অর্জিত বিশেষ জ্ঞানকে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগান অথবা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত হন, তবে তা দেশ ও জাতির জন্য খারাপ নয় বরং মঙ্গল। উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গিয়ে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের পেছনে শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটি ছাড়াও অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, জীবনযাত্রার নিম্নমান, যথাযথ কর্মসংস্থানের অভাব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সাধারণ মানুষের প্রতি রাষ্ট্রের উদাসীনতা অন্যতম। আর এসব কারণে উচ্চশিক্ষা শেষ করার পরও এ তরুণ মেধাবী ছেলেমেয়েরা দেশে ফিরতে আগ্রহী নন। উচ্চশিক্ষা ও উন্নত জীবনযাত্রার উদ্দেশ্যে বিপুলসংখ্যক মেধাবীর সারা জীবনের জন্য দেশ ত্যাগের এ মিছিল দেশ ও জাতির জন্য নিঃসন্দেহে অশনিসংকেত। এ অবস্থা থেকে এখনই বের হয়ে আসতে না পারলে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। তাই এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে দেশের উন্নতির জায়গায় আমি ভীষণ অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখছি। এখানে সবার আগে যে কাজটা করতে হবে তা হলো, যত দ্রুত সম্ভব প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার যুগোপযোগী পরিবর্তন আনতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা স্তর থেকেই আনতে হবে উপযুক্ত পরিবর্তন, শিক্ষা পদ্ধতিকে হতে হবে বাস্তবমুখী আর যেখানে কর্মমুখী ও কারিগরি শিক্ষার বিস্তৃতি হবে ব্যাপক। শিক্ষা কারিকুলামে এমনভাবে সংশোধন আনতে হবে যাতে মুখস্থবিদ্যার থেকে টেকনিক্যাল ও লজিক্যাল বিদ্যার গুরুত্ব বেশি থাকে। 

অর্থনীতিবিদ অ্যাডাম স্মিথ, ডেভিড রিকার্ডো ও মার্শালের মতে, শিক্ষা এমন একটি খাত যার কাজ হলো দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলে পুঁজির সঞ্চালন ঘটানো, যা একটি উন্নত রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার পূর্বশর্ত বলে মনে করি। তাছাড়া দেশে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার ও গবেষণামূলক গ্রন্থের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা পদ্ধতি সংবলিত শিক্ষা কারিকুলাম অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৬৫টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র ২৫টির মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি চালু থাকলেও তাদের মান খুব একটা ভালো নয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো মানসম্পন্ন নয়। এখনই সঠিক সময় দেশে আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী দিয়ে এমএ, এমফিল, পিএইচডির মতো উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা এবং এর গুণগত মান নিশ্চিতের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যদিও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের সুফল আসতে একটু সময় লাগে তাই বলে হাল ছেড়ে দিয়ে অন্য দেশের ওপর নির্ভর করা চলবে না, বরং সরকারের উচিত বাজেটে শিক্ষা খাতকে আরো গুরুত্ব দেয়া এবং বরাদ্দ বাড়ানো। সরকারের যেমন আর্থিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা থাকে, তেমনি মেধা পরিকল্পনাকেও সমান গুরুত্ব দেয়া উচিত। শিক্ষার পাশাপাশি দেশে আর্থসামাজিক নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নেও এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া দেশে সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের আর্থসামাজিক ও পেশাগত বৈষম্য দূর করতে হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের মতো বেসরকারি চাকরিজীবীদের পেশাগত সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে, পেনশনসহ স্বাস্থ্য বীমা, চাকরির নিরাপত্তা বৃদ্ধি ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আইনের আওতায় আনতে সরকারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতে হবে, যেমনটা উন্নত দেশগুলোয় করা হয়। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে মেধাবীদের একেবারে দেশ ছেড়ে বিদেশ গমন কিছুটা হলেও কমে আসবে বলে আমার ধারণা।

তানজিলা আমির: প্রভাষক, অর্থনীতি বিভাগ

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ)

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন