বন্ধ্যাত্বের আধুনিক সব চিকিৎসা মিলবে ল্যাবএইড ফার্টিলিটি সেন্টারে

বন্ধ্যাত্ব থেকে সন্তান ধারণ পর্যন্ত সব পর্যায়ে পরিপূর্ণ সুচিকিৎসার জন্য ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে সুদক্ষ চিকিৎসক এবং অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির সমন্বয়ে রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ ফার্টিলিটি সেন্টার। 

এ সেন্টার ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব হিউম্যান রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড এমব্রায়োলজির গাইডলাইন অনুসারে মান নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করা হয়। ল্যাবএইড ফার্টিলিটি সেন্টার সম্পূর্ণ হাই এফিসিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার ফিল্টার দ্বারা সুরক্ষিত। উন্নতমানের বিদেশী সব যন্ত্রপাতি ছাড়াও এখানে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ, এমব্রায়োলজিস্ট, এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ও ইউরোলজিস্ট রয়েছেন। 

বেসরকারিভাবে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে এবং দেশসেরা সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে আইভিএফ সেবা প্রদান করে চলেছে ল্যাবএইড আইভিএফ সেন্টার। 

নারী ও পুরুষের বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যা, হরমোনজনিত সমস্যা, অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত, কমসংখ্যক ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর সমস্যা, ডিম্বাশয় ও জরায়ুর টিউমার, প্রজননতন্ত্রের জটিল সার্জারিসহ বিভিন্ন সমস্যার সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত সেবা প্রদান করে আসছে ল্যাবএইড আইভিএফ সেন্টার। এছাড়া আরো যেসব গুরুত্বপূর্ণ সেবা ল্যাবএইড আইভিএফ সেন্টার দিয়ে থাকে:ওভ্যুলেশন ইন্ডাকশন এ প্রক্রিয়ায় ডিম্বাণুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ইনজেকশনের মাধ্যমে হরমোন প্রয়োগ করা হয়। নির্দিষ্ট সময় পরে ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের ব্যবস্থা করা হয়।

আইইউআই: স্বামীর বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কম হলে বা অসচল থাকলে শুক্রাণু সংগ্রহ করে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সুস্থ, সবল ও সচল করে সঠিক সময়ে মাতৃগর্ভে বসিয়ে দেয়া হয়।  

ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি : বিভিন্ন কারণে ফেলোপিয়ান টিউব ব্লক হতে পারে। এ সার্জারির মাধ্যমে ব্লক ও ব্লকের কারণ অপসারণ করা হয়।

আইভিএফ : বন্ধ্যাত্ব নিয়েও মাতৃত্বের বাসনা পূর্ণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয় আইভিএফের মাধ্যমে। এটি অপেক্ষাকৃত নিরাপদ ও সহজ পদ্ধতি। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে স্বামীর বীর্য থেকে নেয়া শুক্রাণুর সঙ্গে ল্যাবরেটরিতে ডিম্বাণুর ফার্টিলাইজেশন করা হয় এবং উপযুক্ত সময়ে সেটি মাতৃগর্ভে বসিয়ে দেয়া হয়। 

ক্রায়োপ্রিজারভেশন: ডিম্বাণু, শুক্রাণু ও ভ্রূণ সংরক্ষণের সুযোগও রয়েছে এ হাসপাতালে। যেন পরবর্তী সময়ে নির্দিষ্ট সময়ে অথবা কাঙ্ক্ষিত সময়ে এসব জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা যায়। ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামী বা স্ত্রী, নিঃসন্তান দম্পতি ও অবিবাহিত অথবা আরো অধিক সন্তান নিতে ইচ্ছুক পুরুষ ও নারীদের ক্যান্সার চিকিৎসার আগে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংরক্ষণের সুবিধা রয়েছে এখানে। 

বিদেশে কর্মরত স্বামীর শুক্রাণু সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা এবং পরবর্তী সময়ে সেই শুক্রাণু দিয়ে স্ত্রীর গর্ভধারণে সহায়তা করা হয়। আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সংগৃহীত অতিরিক্ত ভ্রূণও সংরক্ষণ করার সুবিধা রয়েছে এখানে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন