ঈদযাত্রায় মহাসড়কের ৭৬ স্থানে যানজটের আশঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: বণিক বার্তা/ফাইল

আসন্ন ঈদযাত্রায় মহাসড়কের ৭৬টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা করছে হাইওয়ে পুলিশ। মহাসড়কের পাশে পশুর হাট, বিভিন্ন জায়গায় থাকা গর্ত, সংস্কার কাজ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করার কারণে এমন ভোগান্তি সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে ঢাকা-উত্তরবঙ্গে ৩৫টি, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ২৩টি, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১৩টি, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে দুটি ও ঢাকা আরিচা মহাসড়কের তিনটি স্থান উল্লেখযোগ্য।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে গরুর হাটের জন্য ভলান্টিয়ার, কমিউনিটি পুলিশ যুক্ত করাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশও তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

গতকাল বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর উত্তরায় এপিবিএনের সদর দপ্তরে হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আয়োজনে ঈদ উপলক্ষে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত রাখার লক্ষ্যে সমন্বয় সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সভায় হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান, ডিআইজি মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত ডিআইজি শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুললে অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, পশুবাহী গাড়ির সামনে ও পেছনে গন্তব্য লেখা থাকবে। চাঁদাবাজির চেষ্টা করা হলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবার আগে থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।

কোনো পশুবাহী গাড়ির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে মহাসড়কের কোথাও গাড়ি থামানো যাবে না বলে জানান হাইওয়ে পুলিশের প্রধান। তিনি বলেন, অহেতুক যদি কেউ মহাসড়কে গাড়ি থামায় তবে বরদাশত করা হবে না। কোনো পশুর হাটের ভলান্টিয়ার জোরপূর্বক বা বাধা দিয়ে গাড়ি হাটে ঢোকাতে পারবে না।

মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, কিছু গাড়ি সড়কে চলার সময় বিকল হয়, অল্প মেরামত করে সেগুলো চালু করা যায়। কিন্তু যানজটের মধ্যে গ্যারেজে দ্রুত পৌঁছানো যায় না। সে জন্য সারা বাংলাদেশে হাইওয়ে সংলগ্ন যত গ্যারেজ আছে, যানবাহন মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান বা মেরামতকারী আছেন, তাদের তালিকা তৈরি করেছি। সেগুলো প্রত্যেকটি কন্ট্রোল, সাব কন্ট্রোলে দেয়া আছে। তাছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য হাইওয়ে সংলগ্ন হাসপাতাল এবং চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর তালিকা ও নম্বর সংগ্রহ করা হয়েছে। যেন যেকোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত সাপোর্ট দেয়া যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন