আগামীকাল সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সকল ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজধানীর পর্যটন ভবন মিলনায়তনে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ আয়োজিত ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশন ও কৃষিখাতে প্রভাব, করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকা রাখার লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বেশি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করলে দাম কমে যাবে। আমরা চাই পেঁয়াজের দাম ৬০ টাকার বেশি যেন কোনোভাবেই না হয়।
মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি
আমাদের জন্য উভয় সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত
হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট
হয়। সেজন্য, সবসময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ
সকলের স্বার্থ বিবেচনা করেই আমদানির সিদ্ধান্ত
নিয়ে থাকি।
পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ
করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়ন করছে রোডম্যাপ। এতে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। গত ২ বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন।
দুবছরে আগে যেখানে উৎপাদন হতো ২৫ লাখ টনের মতো, এখন উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ লাখ টনের মতো।
উল্লেখ্য, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।