হাইকোর্টের রায়

ইউএনওরা উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী থাকছেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

উপজেলা পরিষদের ‘‌৩৩ ধারা’ অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। উপজেলা পরিষদ আইনের ‘‌৩৩ ধারায়’ বলা আছে—উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হবেন এবং তিনি পরিষদকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন। 

গতকালের রায়ের ফলে উপজেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ হারাচ্ছেন ইউএনওরা। তবে আগের মতো সাচিবিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন তারা।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। 

এ বিষয়ে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, ‘‌মুখ্য কর্মকর্তার পদ না থাকলেও ইউএনওর ক্ষমতা আগের মতোই থাকবে। সরকারের অর্থায়নে গঠিত ১৭টি স্থায়ী কমিটিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাই প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।’

মোহাম্মদ মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ অন্য পিটিশনারদের দাবি, উপজেলা পরিষদের ‘‌৩৩ ধারা’ দিয়ে ইউএনওরা উপজেলা পরিষদকে নিয়ন্ত্রণ ও একক কর্তৃত্ব আরোপ করছিলেন। গতকালের রায়ের ফলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারাই উপজেলা পরিষদ পরিচালিত হবে। এখন থেকে উপজেলা পরিষদের আর্থিক বিষয়ে পরিষদের কাছে জবাবদিহি করতে হবে ইউএনওকে। একই সঙ্গে কোনো কার্যক্রম উপজেলা প্রশাসনের ব্যানারে হবে না। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হবে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে গঠিত কমিটি।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল আজিজসহ তিনজন উপজেলা চেয়ারম্যান এ রিট দায়ের করেছিলেন।  


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন