বড় একটি রাজনৈতিক বিক্ষোভের আগে সাংবাদিক
ও মানবাধিকার কর্মীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে বাংলাদেশ সরকারের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। একই সঙ্গে সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে
বলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজ থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। খবর
রয়টার্স।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে
বলা হয়, দেশটির বৃহত্তম বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কর্মী ও সদস্যদের
ওপর পুলিশের গুলিতে গত বুধবার একজন নিহত এবং ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়।
ভয়েস অব আমেরিকার বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে,
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় একটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করার আগে গত মাসে হাজার হাজার
বিএনপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দলটির কর্মীরা বলছেন, ওই সমাবেশ ১০ লাখ মানুষের
জমায়েত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র
জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই সব ঘটনায় উদ্বিগ্ন এবং বাংলাদেশের ঘটনা
প্রবাহের ওপর ‘খুব, খুব নিবিড়ভাবে’ নজর রাখছে।
ভয়, ভীতি, হয়রানি বা সহিংসতা ছাড়াই
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আহ্বান জানিয়ে
আসছে বলেও জানান তিনি।
জন কিরবি বলেন, বাংলাদেশের সব পক্ষকে আইনের
শাসনকে শ্রদ্ধা দেখাতে, সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই তারা
হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকবে। কোনো দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকি, উসকানি বা সহিংসতা
যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরো বলেন, বাংলাদেশের সরকারকে ‘সহিংসতার ঘটনার
পূর্ণাঙ্গ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করার জন্য’ আহ্বান জানিয়েছে
ওয়াশিংটন।