বিক্রিতে অবনমন

আগামী বছর ডিসপ্লের বাজার পুনরুদ্ধারের আশা অমদিয়ার

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীর সময় ঘরে থেকে কাজ করার পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম  বেড়ে যাওয়ায় ডিভাইসের চাহিদাও বাড়ে। তবে মহামারী-পরবর্তী সময়ে চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, যে কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়। বিক্রিতেও অবনমন ঘটে। তবে স্বতন্ত্র বিশ্লেষক পরামর্শ সংস্থা অমদিয়ার তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সালে ডিসপ্লে প্যানেলের চাহিদা পুনরায় স্বাভাবিক হবে। খবর গিজমোচায়না।

ডিসপ্লের দীর্ঘমেয়াদি চাহিদার বিষয়ে অমদিয়ার সর্বশেষ পূর্বাভাস ট্র্যাকারের তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সালে চাহিদা বছরওয়ারি হিসেবে দশমিক শতাংশ বাড়বে।

খাতটি অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে চলতি বছর মূল্যস্ফীতি সুদহার বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীর জন্য ডিসপ্লের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ধারণা করা হলেও বৈশ্বিক অর্থনীতির দুরবস্থা, সরবরাহ চেইনের সমস্যা জ্বালানি সংকট পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটিয়েছে।

পারতপক্ষে ইতিহাসে প্রথম কোনো বছর হিসেবে ২০২২ সাল ফ্ল্যাট ডিসপ্লে প্যানেলের চাহিদা কমে যাওয়ার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

অমদিয়ার ডিসপ্লে রিসার্চ প্র্যাক্টিস বিভাগের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অ্যানালিস্ট রিকি পার্কের তথ্যানুযায়ী, যদি মূল্যস্ফীতি কমার কোনো সম্ভাবনা থাকে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি ইতিবাচক কোনো সাড়া দেয় তাহলে ২০২৩ ২০২৪ সালে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

তিনি বলেন, গত এক বছরে প্যানেল খুচরা মূল্য তুলনামূলকভাবে কমে আসায় সামনের বছর তা গ্রাহকদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে এটি বড় আকারের টেলিভিশনের দাম কমায় গ্রাহকরা কিনতে আগ্রহী হবে, যেটি গ্রাহকদের চাহিদার খাতকে দ্রুত পুনরুদ্ধার করবে।

বড় প্যানেল উৎপাদনকারীরা ৭৫ ইঞ্চি তার থেকে বড় আকারের ডিসপ্লে উৎপাদন করে। মূলত খরচ কমাতে দক্ষতা বাড়াতে এটি করা হয়।

যার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছর ৭০ ইঞ্চি টেলিভিশনের বাজার ১৫ শতাংশ বাড়বে। সেই সঙ্গে উৎপাদনের পরিমাণ কোটি ৮০ লাখ থেকে ২০২৩ সালে কোটি ১০ লাখ ইউনিটে পৌঁছবে।

অন্যদিকে ওএলইডির বাজারেও ইতিবাচক উন্নতি হয়েছে। সামনের দিনগুলোয় প্রযুক্তি ছবির কোয়ালিটি উন্নয়নের পাশাপাশি কম দামে বাজারজাতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বাজার হিস্যা বাড়াতে সহায়তা করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন