দিনাজপুরের পাইকারি বাজার

চিনিগুড়া-কাটারি আতপ চালের দাম ৩০ টাকা বেড়েছে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, দিনাজপুর

মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরে দেশের ধান চালের অন্যতম বড় পাইকারি এবং খুচরা বাজারে চিনিগুড়া কাটারি আতপ চালের দাম কেজিপ্রতি ৩০-৪০ টাকা বেড়েছে। একই সঙ্গে চিকন মোটা সেদ্ধ চালের দামও কেজিপ্রতি - টাকা বেড়েছে। বাজারে ধানের দামও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে।

দিনাজপুরে সবচেয়ে বড় পাইকারি খুচরা চালের বাজার পুলহাট শিল্প বাণিজ্য এলাকা। এখানকার একাধিক অটোরাইস মিলমালিক এবং পাইকারি চালের আড়তদাররা বণিক বার্তাকে জানান, ভারত থেকে আমদানি করা চাল হিলিসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশের পর সেপ্টেম্বর থেকে দিনাজপুরসহ সারা দেশে চালের দাম কমতে থাকে। কিন্তু মাত্র সাতদিনের মাথায় সব ধরনের চালের দাম আবারো বাড়তে শুরু করে। বিশেষ করে সুগন্ধি চাল ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় - হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শিকদারগঞ্জ এলাকার মোমেনা রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান সাগর বণিক বার্তাকে বলেন, নতুন আমন ধান না ওঠা পর্যন্ত ধান চালের বাজার কমবে না। অন্যদিকে বর্তমানে ধানের যে উচ্চবাজার তার সরাসরি প্রভাব পড়বে আসছে আমন ধানে। মিলমালিক ব্যবসায়ীদের ধারণা, গত বছরের দ্বিগুণ দামে আমন ধান কিনতে হবে। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব চালের বাজারে পড়বে।

দিনাজপুর বিসিক শিল্পনগরী পুলহাট বাণিজ্য এলাকার জামান ব্রাদার্সের চাল ব্যবসায়ীরা বণিক বার্তাকে বলেন, বর্তমানে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে ব্র্যান্ডিং গ্রুপ বা কোম্পানিগুলো। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কোম্পানির মোড়কজাত চিনিগুড়া কাটারি আতপ চাল ১৪০-১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মাত্র ১৫ দিন আগে এসব চালের প্রতি কেজি খুচরা মূল্য ছিল ১১০-১১৫ টাকা।

তবে দিনাজপুরের মিলমালিকরা জানান, নিজেদের অটোরাইস মিলে তৈরি চিনিগুড়া বা কাটারিভোগ আতপ চাল প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলার জহুরা অটোরাইস মিলে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, মাত্র ১০ দিন আগে আতপ চাউল তারা ১১০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি করেছেন।

দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. মোসাদ্দেক হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, এলসির মাধ্যমে আমদানি করা চালের দাম বেশি হওয়ায় বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন