টোঙ্গায় অগ্ন্যুৎপাতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

বণিক বার্তা অনলাইন

প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ টোঙ্গায় অগ্ন্যুৎপাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। যদিও এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া যায়নি।

আজ রোববার কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা টোঙ্গার ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ও মানবিক সংস্থাগুলো যখন টোঙ্গার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে কার্যত যুদ্ধ করে যাচ্ছে, তখন অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেন জেসিন্ডা।

গতকাল শনিবার পানির নিচে থাকা আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের কারণে টোঙ্গায় আঘাত হানে সুনামি। এরপর থেকে দেশটিতে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতে সেখানকার দেড় লাখ বাসিন্দার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ স্থাপন করতে পারছে না।

সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে টোঙ্গার রাজধানী নুকুয়ালোফাতে নিউজিল্যান্ড দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে দেশটির সরকার। আজ রোববার সেটি সম্ভব হয়েছে। জেসিন্ডা আরডার্ন এ ব্যাপারে বলেন, গতকালকের সুনামি নুকুয়ালোফার উত্তর দিকের উপকূলে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। কিছু নৌকা ও বড় বড় পাথর উপকূলে ভেসে গেছে। পুরো নুকুয়ালোফা আগ্নেয়গিরির ঘন ধূলিকণার ঢেকে যায়। তবে অঞ্চলটির অন্যান্যস্থানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্থিতিশীল রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

কিউই প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, এখনো পর্যন্ত টোঙ্গায় ক্ষয়ক্ষতি বা মৃত্যুর কোনো আনুষ্ঠানিক খবর পাওয়া যায়নি। যদিও যোগাযোগ অত্যন্ত সীমিত ছিল। রাজধানীর বাইরে উপকূলীয় এলাকার সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সেখানে নজরদারি চালাতে একটি সামরিক ফ্লাইট পাঠাতে গিয়েও কঠিন পরিস্থিতি দেখতে হয়েছে। কারণ, আগ্নেয়গিরির ঘন ছাই ৬৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ছিল।

আগামীকাল সোমবার আবারো উড়োজাহাজ পাঠানোর চেষ্টা করা হবে। উদ্ধার অভিযানে বিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠানোর কথাও বলেছেন জেসিন্ডা আরডার্ন।

নুকুয়ালোফা থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই পর্বত। গত বৃহস্পতিবার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে বিকট আওয়াজ শুনতে পান টোঙ্গার পার্শ্ববর্তী দেশ নিউজিল্যান্ড, দ্বীপরাষ্ট্র ফিজিসহ পুরো দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, রাজধানীর আকাশে বৃষ্টির মতো ধোয়া ছেয়ে গেছে। পানিতে চার্চসহ বেশকিছু ঘরবাড়ি ভেসে যাচ্ছে।

মাত্র ৮ মিনিটের ওই অগ্ন্যুৎপাত এতটাই ভয়ানক ছিল যে সেখান থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরের ফিজির বাসিন্দারা মনে করেছিল অনেক তীব্র বজ্রপাতের আওয়াজ পাচ্ছে তারা। সেখানেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয় এবং নিম্নাঞ্চলের তীরবর্তী মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। এ ঘটনায় ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দূরের নিউজিল্যান্ডেও তুফানের সতর্কতা দেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন