ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

দেশে ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা জানান। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান এ বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক টিকা দেশেই উৎপাদনের লক্ষ্যে ভ্যাকসিন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। 

টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের মৃত্যু্তে রীতি অনুযায়ী সংসদে শোক প্রস্তাব আনা হয়। তার জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা শেষে সংসদ মুলতবি ঘোষণা করা হয়। 

প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারী বিশ্বে টিকার আবিষ্কার ও উৎপাদনের গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে টিকা নিয়ে অধিকতর গবেষণা ও উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে আরো বেশি। করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট গড়ে তোলার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। এছাড়া ভ্যাকসিন বিষয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। ভ্যাকসিন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন ও বিদেশে রফতানি করার সামর্থ্য বাংলাদেশের রয়েছে। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধামন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাসটেইনেবল সলিউশন নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে এসডিজি অর্জনে সাফল্যের জন্য এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। সম্মাননা দেয়ার সময় মহামারীকালে বাংলাদেশ ও বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য আমাকে জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন বলে ডাকা হয় । 

এছাড়া জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, নিজস্ব অর্থায়নে চলমান পদ্মাসেতুর ভৌত অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এটি আগামী বছর জুনে খুলে দেয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন