ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট

ফাহমিদা খাতুন, ফখরুদ্দীন আল কবির

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ১৯৭১ সালে টেলিগ্রাফ ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ গঠন করা হয়। এরপর ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশবলে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বিভাগকে পুনর্গঠন করে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বিভাগ বোর্ড (বিটিটিবি) গঠন করা হয়। এর মাধ্যমে দেশব্যাপী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান শুরু হয় এবং বিটিটিবিকে টেলিযোগাযোগ ও বেতার সার্ভিসের জন্য লাইসেন্স প্রদানের ক্ষমতা দেয়া হয়।

সাধারণ মানুষের কাছে টেলিফোন সেবা পৌঁছানোর সুযোগ হয় ১৯৮৫ সালে, যখন নগর এলাকায় কয়েন বক্স পদ্ধতির মাধ্যমে টেলিফোন বুথ চালু করা হয়। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে স্থল লাইনে বেতারভিত্তিক পাবলিক কল অফিস স্থাপন করা হয়। ১৯৯৫ সালে এ দুটি সেবাকে আরো উন্নত করার জন্য চালু করা হয় কার্ডফোন ব্যবস্থা। এটি মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পায়। বিটিসিএলের বার্ষিক প্রতিবেদন (২০০৪-০৫) অনুসারে, সারা দেশে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫১৪টি কার্ডফোন বুথ স্থাপন করা হয়েছিল। এ কার্ডফোন বুথ কলের মাধ্যমে সারা দেশে যোগাযোগ ও আন্তর্জাতিক কল করার সুবিধা ছিল।

১৯৯৫ সালে সরকার ১৯৭৯ সালের অধ্যাদেশটি সংশোধন করে। এ সংশোধনে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়। এরপর টেলিযোগাযোগ খাতের নীতিনির্ধারণের জন্য ২০০১ সালে টেলিযোগাযোগ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) গঠন করা হয়। ২০০৬ সালে টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০০১ সংশোধন করে ২০০৮ সালে বিটিটিবিকে লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত করা হয় এবং এর নাম হয় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) এ কোম্পানির শতভাগ শেয়ারের মালিকানা সরকারের হাতে রয়েছে।

বর্তমানে বিটিসিএল যে কাজগুলো করে থাকে এবং যেসব সেবা দেয়, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান, পাবলিক টেলিফোন সার্ভিস, ইন্টারনেট সার্ভিস, ভিপিএন সার্ভিস, আইপি এড্রেস প্রদান, ডোমেইন হোস্টিং, অ্যান্ড ওয়েব হোস্টিং ইত্যাদি। ২০১১-১২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিটিসিএলের মোট ৭৪৭টি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ছিল, যার টেলিফোন লাইন সংযোগ ছিল ৬ দশমিক ১৬ লাখ এবং টেলিফোন লাইন ধারণক্ষমতা ছিল ১৪ দশমিক ২৮ লাখ। তবে পর্যায়ক্রমে বিটিসিএল তাদের সেবা কার্যক্রমকে আরো ডিজিটালাইজড এবং উন্নত করে।

আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগের অন্যতম সর্বাধুনিক প্রযুক্তি হচ্ছে ইন্টারনেট। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয়েছে ১৯৯৫ সালে। এ বছরে বাংলাদেশ টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ বোর্ড ঢাকা এবং অন্য চারটি বড় শহরকে (চট্টগ্রাম, বগুড়া, খুলনা ও সিলেট) কেন্দ্র করে ইন্টারনেট গ্রাহকদের লিজড লাইন ও ডায়াল আপ সুবিধা দেয়া শুরু করে। এক্ষেত্রে টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ বোর্ড তত্কালীন ভূকেন্দ্র সংযোগের মাধ্যমে ইন্টারনেট সুবিধা দিত। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ অপটিক্যাল ফাইবার কানেকশনের মাধ্যমে সারা দেশে ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া শুরু করে। এরপর সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ২০০৯ সালে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতি গ্রহণ করে।

২০০৬ সালে দেশে সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (টেলিকমিউনিকেশন অ্যাক্ট ২০০১-এর সংশোধন) প্রণয়ন করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আইনগতভাবে বৈধতা ও নিরাপত্তা প্রদান করা এবং সে-সম্পর্কিত বিধি প্রণয়ন করা (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ সালের ৩৯ নং আইন) এ আইন অবশ্য টেলিযোগাযোগ আইনের পদ্ধতিতে টেলিযোগাযোগ খাতকে নিয়ন্ত্রণ করে না। টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে আইসিটি আইনের তাত্পর্য হলো, আইনটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কিছু আইনি অনিশ্চয়তা দূর করে এবং ব্যাখ্যা করে।

বাংলাদেশে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত বাণিজ্যিক টেলিফোন সেবা প্রদানের একক কর্তৃত্ব ছিল সরকার নিয়ন্ত্রিত বিটিটিবির কাছে। আশির দশকের মাঝামাঝির দিকে ব্যক্তি খাতে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অনেক সেবা প্রদানের সুযোগ দেয়া শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে দেশে টেলিকমিউনিকেশন খাতে সর্বপ্রথম বেসরকারীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সেবা টেলিকম নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১৯৯টি উপজেলায় টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিচালনার অনুমতি দেয়া হয়। ওই বছরই দেশের সর্বপ্রথম সেলুলার ফোনসেবা চালু করে সিটিসেল মোবাইল কোম্পানি। তবে শুরুর দিকে প্রতিযোগিতামূলক বাজার না থাকার কারণে সেলুলার ফোনের সেবা অনেক ব্যয়বহুল ছিল, ফলে অল্পসংখ্যক গ্রাহকের কাছে এ সেবা পৌঁছাতে পেরেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৬ সালে গ্রামীণফোন সেলুলার ফোন অপারেশনের জন্য লাইসেন্স পায় এবং ১৯৯৭ সালে দেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এরপর একে একে দেশে রবি (আগে একটেল) ১৯৯৮ সালে, সরকারি মালিকানাধীন সেলুলার ফোন কোম্পানি টেলিটক ২০০৪ সালে, বাংলালিংক ২০০৫ সালে ও এয়ারটেল ২০১০ সালে (আগে ওয়ারিদ নামে পরিচিত) তাদের কার্যক্রম শুরু করে।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন খাতের বর্তমান অবস্থা

বলার অপেক্ষা রাখে না যে বর্তমানে ব্যক্তি খাতে সেলুলার ফোনের ব্যবহার ব্যাপক। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) তথ্যমতে, ২০২০ সালে দেশে মোট ১৭ কোটির বেশি সেলফোনের সংযোগ হয়েছে। তাছাড়া প্রতি ১০০ জনের বিপরীতে মোবাইল সেলুলার সাবস্ক্রিপশনের সংখ্যা ১০৩ দশমিক ৩১। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ, যেমন ভারত (৮৩ দশমিক ৬০), পাকিস্তান (৭৯ দশমিক ৫১), ভুটান (৯৬ দশমিক ৫৭) থেকে বেশি। তবে আধুনিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট ব্যবহারের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের আরো উন্নয়ন করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে মোট ইন্টারনেট সুবিধা ভোগকারী গ্রাহকের সংখ্যা ১১ কোটি ৬১ লাখ ৪০ হাজার এবং স্থায়ী ব্রডব্যান্ড সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৯৮ লাখের কিছু বেশি (সূত্র: বিটিআরসি, ২০২১)।

বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ১৩ জন ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারছে এবং প্রতি ১০০ জনে পাঁচজন স্থায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছে, যা কিনা স্থায়ী ব্রডব্যান্ড সংযোগের অর্থনৈতিক প্রভাব, অর্থাত্ স্থায়ী ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং প্রতিদিনের যোগাযোগের জন্য আর্থিক সুবিধা ও লাভবান হওয়ার জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, তা থেকে আমরা পিছিয়ে আছি। এক্ষেত্রে ভারতে শতকরা ৪১ জন, নেপালে শতকরা ২১ জন, পাকিস্তানে শতকরা ১৭ জন, শ্রীলংকায় শতকরা ৩৫ জন ও ভুটানে শতকরা ৪১ জন ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে (সূত্র: আইটিইউ, ২০২০)।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন খাতের সমস্যা

টেলিকমিউনিকেশন খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জন অপরিসীম। কিন্তু ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জন করার জন্য এ খাতের কিছু দিকে আরো উন্নতি করা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ইন্টারনেট সেবার আওতায় আছে (সূত্র: বিটিআরসি, ২০২১)। এদের বেশির ভাগ শহরে বসবাসকারী এবং আধুনিক নাগরিক সুবিধা ভোগ করছে। কিন্তু বাংলাদেশের শতকরা ৬২ জন গ্রামে বাস করে, যাদের অধিকাংশই ইন্টারনেট সুবিধার বাইরে আছে (সূত্র: বিশ্বব্যাংক, ২০২০)। বাংলাদেশের সরকার বেশ কয়েক বছর ধরেডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য দেশের বেশির ভাগ জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে বেশকিছু প্রকল্পও নেয়া হয়েছে। কিন্তু অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার কারণে এ সুবিধার আরো বিস্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়া অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা থাকার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সুবিধা পৌঁছানো কষ্টকর। টেলিকমিউনিকেশনে গুণগত সেবা নিশ্চিত করাও বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি, মূল্যহ্রাস ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো, যেমন কম্পিউটার ও অন্যান্য সুবিধা এখনো অনেকের কাছে পৌঁছেনি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো অনুযায়ী, শুধু ৩৩ শতাংশ মানুষের কাছে কম্পিউটার রয়েছে এবং তারা সেগুলো ব্যবহার করেছে (সূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ২০১৩)। এক্ষেত্রে যাদের কম্পিউটার নেই, তাদের ৯৬ শতাংশ কখনো কম্পিউটার ব্যবহার করেনি। তাই কম্পিউটার ও প্রযুক্তিগত যন্ত্রাংশের সহজপ্রাপ্যতার সমস্যা ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনকে বাধাগ্রস্ত করছে।

এছাড়া সেবার গুণগত মানোন্নয়নেরও অনেক সুযোগ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহকরা কল ড্রপ সমস্যার সম্মুখীন হন, যা সেলফোন গ্রাহকদের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে তোলে। ২০২০ সালে ১১২ দশমিক ৯৫ কোটি কল ড্রপ রেকর্ড করা হয় (সূত্র: বিটিআরসি, ২০২০)। কল ড্রপের অন্যতম কারণ হলো চাহিদামতো স্পেকট্রাম ও অবকাঠামোগত সহায়তা না থাকা এবং একসঙ্গে অনেক গ্রাহক একই নেটওয়ার্কের স্পেকট্রাম ব্যবহার করেন। এছাড়া ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে উন্নত বিশ্বের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সের মতে, সারা বিশ্বে ইন্টারনেটের গতি বেড়েছে শতকরা ৬০ ভাগ, যেখানে বাংলাদেশে বেড়েছে ১৫ শতাংশ (সূত্র: ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স, ২০২১)। তাছাড়া ২০২১ সালে ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৩৯টি দেশের মাঝে বাংলাদেশ ১৩৫তম অবস্থানে আছে।

সামনের জন্য করণীয়

একটি নীতিমালা সঠিকভাবে প্রণয়নের জন্য সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই টেলিকমিউনিকেশন খাতের নীতিমালা নির্ধারণে সর্বপ্রথম লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। এক্ষেত্রে টেলিকমিউনিকেশনের বিভিন্ন সূচক, যেমন গ্রাহক সংখ্যা, গুণগত মান এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নীতিমালা প্রণয়ন, প্রয়োগ ও নিরীক্ষণ এবং পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈশ্বিক সাহায্য ও সহযোগিতা বাড়ানো, ইন্টারনেটের যথাযথ মান বৃদ্ধি করা এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে টেলিকমিউনিকেশন সেবা পৌঁছানোর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। গুণগত ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য দেশের ভেতরে যেমন যথাযথ নীতি থাকতে হবে, তেমনি অন্যান্য দেশের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে হবে। তাছাড়া ইন্টারনেট সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এর দাম কমানো, মূল্য নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। ইন্টারনেট সেবা ও তার মূল্য নির্ধারণে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) জন্য ইন্টারনেটের দামের নির্ধারিত কোনো গাইডলাইন নেই, তাই বাংলাদেশে নির্ধারিত মূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।

 

ফাহমিদা খাতুন: নির্বাহী পরিচালক, সিপিডি

ফখরুদ্দীন আল কবির: গবেষক, সিপিডি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন