দেশের সর্বপ্রথম করপোরেট সুকুক বন্ড বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক আল-ইসতিসনার সাবস্ক্রিপশন গত ১৬ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে, যা গত ২৩ আগস্ট বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে তা বাড়িয়ে দ্বিতীয় দফায় ৬ সেপ্টেম্বর করা হয়। নির্ধারিত সময়ে সাবস্ক্রিপশন সম্পন্ন না হওয়ায় আবেদনের মেয়াদ তৃতীয় দফায় বাড়িয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইআই) ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে সুকুকের জন্য আবেদন করতে পারবেন। স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, সুকুকটির সাবস্ক্রিপশনের ন্যূনতম পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা।
তবে সর্বোচ্চ পরিমাণের ক্ষেত্রে কোনো সীমা নির্ধারিত নেই।
সাবস্ক্রিপশন ফি ধরা হয়েছে তিন হাজার টাকা।
সুকুকটির
ট্রাস্টি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। বেক্সিমকোর সুকুক বা ইসলামী শরিয়াহসম্মত বন্ড কেনার ক্ষেত্রে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা অগ্রাধিকার সুবিধা পাবেন।
এ বছরের ১৯ জুলাই রেকর্ড ডেটে যাদের কাছে কোম্পানিটির শেয়ার ছিল তারা এ সুবিধা পেয়েছেন।
বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক আল-ইসতিসনা নামে ৩ হাজার কোটি টাকার শরিয়াহভিত্তিক বন্ডটির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ বেক্সিমকো লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেডের নির্মাণকাজে ব্যয় করা হবে।
এছাড়া বেক্সিমকোর বস্ত্র খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে এ অর্থ ব্যবহার করা হবে।
বেক্সিমকো গ্রীন সুকুক ট্রাস্ট নামে স্পেশাল পারপাস ভেহিকলের মাধ্যমে এ সুকুক ইস্যু করা হবে।
বেক্সিমকোর এ সুকুকের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা।
একজন বিনিয়োগকারীকে ন্যূনতম ৫০টি সুকুক কিনতে হবে।
এক্ষেত্রে ন্যূনতম সাবস্ক্রিপশন ফি ৫ হাজার টাকা।
সুকুকটি প্রাইভেট প্লেসমেন্ট ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করবে।
এর মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৭৫০ কোটি
টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে আর ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে অন্যান্য বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
এছাড়া ৭৫০ কোটি টাকা আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
এ সুকুকের মেয়াদ হবে পাঁচ বছর।
৯ শতাংশ ভিত্তিমূল্যের সঙ্গে মার্জিন যোগ করে ছয় মাস অন্তর বন্ডটিতে বিনিয়োগের বিপরীতে রিটার্ন দেয়া হবে।
বেক্সিমকো লিমিটেডের আগের বছরের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) ঘোষিত লভ্যাংশ ও ভিত্তিমূল্যের ব্যবধানের ১০ শতাংশ মার্জিন হিসেবে নির্ধারণ করা হবে।
যদি লভ্যাংশের হার ভিত্তিমূল্যের সমান বা কম হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ভিত্তিমূল্যের হিসাবে রিটার্ন দেয়া হবে।
আর লভ্যাংশ ৯ শতাংশের বেশি হলে তার ১০ শতাংশ সুকুকের মুনাফার সঙ্গে যুক্ত হবে।