পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডকে সম্প্রতি ৩০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টিবল জিরো কুপন বন্ড ইস্যুর অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লংকাবাংলা ফাইন্যান্স বন্ড ছেড়ে তোলা টাকা দিয়ে করপোরেট খাতে অর্থায়নের পাশাপাশি এসএমই ও রিটেইল খাতে ঋণ বিতরণের গতিকে ত্বরান্বিত করবে।
জিরো কুপন বন্ডটি হবে নন-কনভার্টেবল বন্ড অর্থাৎ বন্ডটিকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে না।
একই সঙ্গে এটি হবে আনসিকিউরড অর্থাৎ বন্ডটি ছাড়তে কোনো জামানত দিতে হবে না।
এর আগে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স ওই বন্ড ইস্যুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মতি পেয়েছে।
এটি লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের চতুর্থ বন্ড ইস্যু ও জিরো কুপন বন্ড হিসেবে তৃতীয়।
জিরো কুপন বন্ড তার ফেস ভ্যালু থেকে ডিসকাউন্ট ইস্যু করা হয় এবং মেয়াদান্তে বন্ড হোল্ডাররা সম্পূর্ণ ফেস ভ্যালু প্রাপ্ত হন।
বন্ডের ডিসকাউন্ট হার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশ, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচুয়াল ফান্ড, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, তালিকাভুক্ত ব্যাংক, সমবায় ব্যাংক, আঞ্চলিক ব্যাংক, সংগঠন, ট্রাস্ট ফান্ড ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা করপোরেশনসহ অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
এ বন্ডের প্রতি লটের অভিহিত মূল্য ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৭৪৩ টাকা।
জিরো কুপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় বাংলাদেশে ব্যক্তি ও করপোরেট বিনিয়োগকারীদের জন্য করমুক্ত।
বন্ডটির ট্রাস্টি হিসেবে আছে আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
ইস্যু ম্যানেজারের কাজ করছে গ্রিন ডেল্টা ক্যাপিটাল লিমিটেড।
লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০২১ হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় হয়েছিল ১ পয়সা।
চলতি হিসাব বছরের ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছে ৭১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় হয়েছিল ১৪ পয়সা।
৩০ জুন ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২৪ পয়সা।
এদিকে প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির নিট পরিচালন আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে নিট পরিচালন আয় ছিল ২০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় হয়েছে (ইপিএস) ৪১ পয়সা, যা এর আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ পয়সা।
এ বছরের ৩১ মার্চ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ১৫ পয়সায়।