ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার হচ্ছে —স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওয়ার্ড, ইউনিয়ন উপজেলা পর্যায়ে নভেল করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী টিকা কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ওয়ার্ড পর্যায়ে বয়স্ক লোকদের টিকাদান করার ব্যবস্থা করা, টিকা গ্রহণে তাদের মধ্যে একটা অনীহা আছে। হাসপাতালে দেখা গেছে, গ্রামের বয়স্ক লোকরাই আছেন ৭৫ শতাংশ। তাদের মৃত্যু সংখ্যা বেশি, আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ। তাদের টিকাদানের জন্য আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।

তিনি বলেন, ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার হিসেবে ডাক্তার-নার্স, আর্মি, পুলিশ, সাংবাদিক রয়েছেন। তারা তো পেয়েছেন। বাকিদেরও দিতে বলা হয়েছে। তাদের পরিবারকে টিকা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিবারে যদি কোনো ড্রাইভার থাকে তাকেও দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। পরিবারে ১৮ বছরের বেশি যাদের বয়স তারা ভ্যাকসিনটা পাবে। টিকাদান কার্যক্রম তো চলছেই। এখন আমরা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা লেভেলে জোর দেব বেশি। পাশাপাশি টেস্টের বিষয়েও জোর দেয়া হয়েছে। গ্রামের লোকেরা অনেক সময় পরীক্ষা করতে চায় না।

জাহিদ মালেক বলেন, লকডাউনের তিন-চারদিন চলছে। কিন্তু রাস্তাঘাটে মানুষ যেভাবে চলাফেরা করছে, যেভাবে গাড়ি চলাচল করছে তাতে আমরা খুবই দুঃখিত। যারা লকডাউন ব্রেক করছে তারা নিজেদের ক্ষতি করছে। প্রতিটি রাষ্ট্রের সক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতা আছে। আমাদের হাসপাতালে ৯০ শতাংশ সিট বুক হয়ে গেছে, রোগী আছে সেখানে।

তিনি বলেন, নতুন করে আর কোথায় হাসপাতাল চালু করব। নতুন তো কোনো ভবনও নেই। ডাক্তার-নার্সরাও ক্লান্ত হয়ে গেছেন। তারা আর কত কাজ করবেন? নতুন চার হাজার ডাক্তার আমরা নিচ্ছি, চার হাজার নার্সও নেয়া হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে নেয়া হচ্ছে। তাদের ইন্টারভিউ আমরা বাদ দিয়েছি। অনুরোধ করেছি, ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার নেই, পুলিশ ভেরিফিকেশনের দরকার নেই। তাড়াতাড়ি তাদের কাজে যোগদানের সুযোগ দেয়া হোক। সে ব্যবস্থাও আমরা করেছি।

দেশে মোট ২১ কোটি টিকা আসবে। যেটা মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন