পুরোপুরি ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের এবারের ঈদ ‘আনন্দমেলা’। প্রচলিত মেলায় যা দেখা যায়, তার সবই ছিল আনন্দমেলার সেটে। মূলত দেশের সংস্কৃতি থেকে ক্রমে হারিয়ে যেতে থাকা মেলাকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে এ আনন্দমেলা। এখানেও দেখা যাবে যাত্রার প্যান্ডেল, সার্কাস, পতুলনাচ, বায়োস্কোপ, নিশানা লাগানো, চুড়ি, মুড়ি-মুড়কির দোকান, মিষ্টির দোকান, বেতের নানা উপকরণের দোকান, নাগরদোলা, বানরনাচ, হাওয়াই মিঠাই, খাবারের দোকান, পোশাকের দোকান ইত্যাদি। প্রতিটি দোকানকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নানা ঘটনা এবং এগিয়ে চলেছে ঈদের আনন্দমেলার কাহিনী। ঈদুল আজহার আনন্দমেলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এমনটাই জানালেন অনুষ্ঠানটির পরিকল্পক ও বিটিভির পরিচালক (অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা) জগদীশ এষ। তিনি বলেন, ‘বিটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানটি নিয়ে বরাবরই দর্শকদের ব্যাপক কৌতূহল থাকে। আমরাও চেষ্টা করি তাদের মনঃপূত বিনোদন দেয়ার। তবে এবার দর্শকরা একটু বেশিই চমকে যাবেন। ঈদ অনুষ্ঠানটিতে আমাদের সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাওয়া মেলার স্বাদ পাবেন তারা। আশা করছি, ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দর্শক উপভোগ করবেন।’
আনন্দমেলায় স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায় হাজির হয়ে উপস্থাপনা করেছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ ও অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। আনন্দমেলার মঞ্চ দিয়েই উপস্থাপক হিসেবে তাদের দুজনে প্রথমবার একসঙ্গে হাজির হওয়া। এবারের আনন্দমেলার আয়োজনে থাকছে প্রয়াত পপ সম্রাট আজম খানের তিনটি গানের (ওরে সালেকা ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল এবং বাংলাদেশ) কোলাজ করে একটি গান। এটি পরিচালনা করেছেন ফুয়াদ নাসের বাবু। আর গান গেয়েছেন সংগীতশিল্পী মেহেরীন, আলিফ আলাউদ্দিন ও আরমিন মুসা। এছাড়া ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’ গানটি নতুনভাবে ফিউশন করে উপস্থাপন করা হয়েছে। গেয়েছেন পুলক অধিকারী, রেজওয়ান, অনন্যা, বিপাশা ও মৃদুলা। জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দ যে মানবতার সেবার মধ্যে—গানে গানে এ কথাগুলোই ফুটিয়ে তুলবেন সংগীতশিল্পী পিন্টু ঘোষ। মৌলিক এ গানের সুর ও সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি গেয়েছেন তিনি নিজেই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বিখ্যাত সব মিষ্টির নাম নিয়ে তৈরি করা হয়েছে আরেকটি মৌলিক গান। গানটির গীতিকার লিটু সাখাওয়াত। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন এজাজ ফারাহ। কণ্ঠ দিয়েছেন এজাজ ফারাহ্, নিয়াজ মাখদুম ও সাদিত। গত পাঁচ দশকের পাঁচ জনপ্রিয় নায়িকা শবনম, ববিতা, অঞ্জু ঘোষ, মৌসুমী ও মাহিয়া মাহির জনপ্রিয় বিভিন্ন সিনেমার গানের কোলাজ করে আলাদাভাবে তিনটি নৃত্য পরিবেশন করেছেন এ সময়ের জনপ্রিয় তিন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া, মাহিয়া মাহি ও বিদ্যা সিনহা মিম। এটি প্রচারিত হবে ঈদের দিন রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর।