দেশের প্রথম সাইবার থ্রিলার চলচ্চিত্র অন্তর্জালে পরিচালক দীপংকর দীপনের নতুন চমক এবিএম সুমন। ৩০ জুন সন্ধ্যায় এ চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মোশন পিপল স্টুডিওসের অফিসে এবিএম সুমনের সঙ্গে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্জালের প্রযোজক সাদেকুল আরেফীন ও সহপ্রযোজক শাহ আমীর খসরু।
ঢাকা অ্যাটাক খ্যাত পরিচালক দীপন জানান, আগামীর যুদ্ধটা হবে সাইবারে, কতটা প্রস্তুত আমাদের যোদ্ধারা—এ মূল ভাবনা নিয়ে নির্মাণ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সাইবার থ্রিলার চলচ্চিত্র অন্তর্জাল। এবিএম সুমন এ চলচ্চিত্রে অভিনয় করবেন সিআইডির ফিনটেক সাইবার ক্রাইমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রায়হান চরিত্রে।
এবিএম সুমন বর্তমানে জাজ মাল্টিমিডিয়ার বিগ বাজেটের সিনেমা মাসুদ রানার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। এরই মধ্যে তিনি অন্তর্জাল চলচ্চিত্রে যুক্ত হলেন।
এ বিষয়ে এবিএম সুমন বণিক বার্তাকে বলেন, দীপংকর দীপন দাদার ঢাকা অ্যাটাক আমার ক্যারিয়ারে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। তার ভিশন খুব পরিষ্কার এবং যেকোনো কাজের জন্য তার অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া তৈরি হয়। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাকে দারুণ কিছু জানার সুযোগ করে দেয়। সেই সঙ্গে এ ছবির চরিত্রটি আমার খুব ভালো লেগেছে। ঢাকা অ্যাটাকে আমি পুলিশের অংশ ছিলাম, এখানেও তাই। তবে সেই চরিত্রটি থেকে এ চরিত্রটি অনেক অন্য রকম—কতটা, সেটা ছবিটা দেখলেই মানুষ বুঝতে পারবে।’
এবিএম সুমনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে পরিচালক দীপংকর দীপন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘সুমন আমার খুব পছন্দের অভিনয়শিল্পী। সুমন যেকোনো চরিত্রে নিজেকে দারুণভাবে মানিয়ে নিতে পারেন। সুমনের অভিনয় দক্ষতা ও পরিশ্রমের জন্য অন্তর্জাল সিনেমার শৈল্পিক দিকটি অনেক সমৃদ্ধ হলো। এ সিনেমায় সুমনকে নানা মাত্রিক সাইবার ও ডিজিটাল সমস্যা ও সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। এ চ্যালেঞ্জের জন্য সুমনকে দারুণভাবে তৈরি করার কাজটি শেষ করেছি আমরা। এ ছবির গবেষণা কাজ করার জন্য কয়েকজন সিআইডি কর্মকর্তা আমাকে সহায়তা করেছেন। তাদের আদলেই চরিত্রটি বিনির্মাণ করা হয়েছে।’
এরই মধ্যে এ চলচ্চিত্রে আরো চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ এবং জাতীয় চলচ্চিত্র বিজয়ী চিত্রনায়িকা সুনেরাহ বিনতে কামাল। উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছবিটির ঘোষণা দেন। অন্তর্জাল ছবিটির গল্প লিখেছেন দীপংকর দীপন, সাইফুল্লাহ রিয়াদ ও আশা জাহিদ। চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সরকারের আইসিটি ডিভিশনের উদ্যোগে নির্মিতব্য এ চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মোশন পিপল স্টুডিও। সার্বিক সহযোগিতায় স্পেলবাউন্ড লিও বার্নেট।