কানাডার
একটি পরিত্যক্ত আবাসিক স্কুল এলাকায় শত শত গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। কয়েক সপ্তাহ
আগে একটি
পরিত্যক্ত স্কুলে আদিবাসী শিশুদের কবর
শনাক্তের পর এ ঘটনাকে উদ্বেগজনক এবং ভয়াবহ বলে আখ্যা দিয়েছে স্থানীয় আদিবাসী
সম্প্রদায়। খবর রয়টার্স।
আাদিবাসীদের
সংগঠন ‘দ্য ফেডারেশন অব সভরেইন ইন্ডিজেনাস নেশনস’ এক বিবৃতিতে গণকবরের ঘটনাকে কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা
বলে আখ্যা দিয়েছে। তবে বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা জানানো হয়নি।
সংগঠনটি
জানিয়েছে, সাসকাচোয়ানে অবস্থিত ম্যারিভাল
ইন্ডিয়ান রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে থাকা গণ কবরের ভয়াবহ ও মর্মস্পর্শী বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন করবে
তারা।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের কামলুপস’র ওই এলাকায় কয়েক সপ্তাহ আগে একটি পরিত্যক্ত
আবাসিক স্কুলে ২১৫ জন আদিবাসী
শিশুর গণকবর পাওয়া
যায়। মৃত
শিশুদের ওপর নিপীড়ন চালানো হয়েছিল বলে তখন অভিযোগ ওঠে তখন।
১৮৩১
সাল থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত কানাডার আবাসিক স্কুলে জোর করে প্রায় দেড় লাখ আদিবাসী শিশুকে পরিবার থেকে আলাদা করা
হয়। চরম
অপুষ্টিতে ভোগা এসব শিশু শারীরিক এবং
যৌন নিপীড়নের শিকার হয় স্কুলগুলোতে। ২০১৫ সালে এটিকে দেশটির ট্রুথ
অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন ‘কালচারাল
জেনোসাইড’ বা সাংস্কৃতিক গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত
করেছে।
এ ঘটনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা সেখানকার চিরস্থায়ী ক্ষুধা এবং ভীতিকর
একাকিত্বের কথা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তাদের দাবি, ভীতি প্রদর্শন এবং জোরজবরদস্তি করে
স্কুলগুলো চালানো হত।
কানাডার
ফেডারেল সরকার এই পদ্ধতির জন্য ২০০৮ সালে ক্ষমা চেয়েছে। তবে স্কুল পরিচালনাকারী রোমান ক্যাথলিক
চার্চের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো দুঃখ প্রকাশ করা হয়নি।
তবে, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চলতি মাসের শুরুতে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি ব্যথিত।