২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু কমলেও শনাক্ত বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। দেশে একদিনের ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে দৈনিক শনাক্ত। শেষ ২৪ ঘণ্টায় হাজার ৫১৪ জন শনাক্তের তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিন শনাক্ত হয়েছিল হাজার ৩৮৬ জন। গতকাল পর্যন্ত দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল লাখ ৭৫ হাজার ২৭-এ। মারা গেছে ১১ হাজার ৯৭২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকালের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের ৪৫৪টি ল্যাবে ১৬ হাজার ৮৪৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায়। পরীক্ষায় হাজার ৫১৪টি নমুনা পজিটিভ আসে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর দেশে সংক্রমণ শুরুর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের ২৫ জন পুরুষ আর নারী ১৩ জন। তাদের ২৬ জন সরকারি হাসপাতালে, ১০ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যায়। বাসায় মারা গেছে দুজন। ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, সাতজনের বয়স ৫১-৬০, পাঁচজনের ৪১-৫০ একজনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম, ছয়জন রাজশাহী, দুজন বরিশাল, তিনজন সিলেট একজন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা। দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার দশমিক ৫৪ শতাংশ। বিপরীতে সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৯০ শতাংশ। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হাজার ১১৫ জনসহ গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে লাখ ১২ হাজার ২৭৭ জন রোগী।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশে গত বছরের মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর মৃত্যুর খবর জানায় সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম মৃতের সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৭তম স্থানে। গত ফেব্রুয়ারি দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু করে সরকার।

গত মার্চে সংক্রমণের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হলে ২৯ মার্চ বেশকিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে সরকার। প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয়বারের সংক্রমণের তীব্রতা খুব বেশি। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর খবর আসে গত ১৯ এপ্রিল। সে সময় টানা চারদিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে।

দেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত ২৭ এপ্রিল রোগীর সংখ্যা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যে এপ্রিল সর্বোচ্চ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যু হয়। আর চলতি বছরের মে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন