তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ধাবমান অগ্রগতিকে থমকে দিতে অতীতে দুর্নীতি-দুঃশাসনের মাধ্যমে অগ্রগতির চাকাকে ঘূর্ণায়মান চাকায় পরিণতকারীদের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই।
গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনার জীবন কথা’
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছিল এবং দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু হত্যা সংঘটিত হয়। আজও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, যারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও দেশেরও প্রতিপক্ষ, তারা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সেজন্যই মধ্যপ্রাচ্যে গোপন বৈঠক হয়, ঢাকা শহরেও বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের বৈঠক হয়।
শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার অপচেষ্টা চালিয়েছে, এখনো নানা ষড়যন্ত্র আছে, এগুলো সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিনের আগের দিন আমাদের প্রত্যাশা, তিনি আরো বহু বছর ধরে আমাদের নেতৃত্ব দিতে থাকুন। তার হাত ধরে দেশ পৌঁছে যাক স্বপ্নের কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়।
প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জীবন একটি সংগ্রামী জীবনের উপাখ্যান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সংগ্রাম যে শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর থেকে শুরু হয়েছে তা নয়, তার পুরো জীবনটাই সংগ্রামের। কারণ শেখ হাসিনার জন্মের সময় থেকে শুরু করে বেশির ভাগ সময়ই তার পিতা বঙ্গবন্ধুকে জেলখানাতেই থাকতে হয়েছে। অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। ১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি যেদিন দেশে আসেন, সেদিন অঝোরে বৃষ্টি আর মেঘের প্রচণ্ড গর্জন হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, আকাশের এ প্রচণ্ড গর্জন যেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের প্রতি ধিক্কার দিচ্ছে আর বৃষ্টির অঝোর ধারা যেন ছিল বঙ্গবন্ধুকন্যাকে কাছে পেয়ে প্রকৃতির আনন্দাশ্রু বর্ষণ।