যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ২৮ হাজারেরও বেশি ডায়ালাইসিস রোগীদের ওপর অধ্যয়ন করে দেশটিতে কভিড-১৯ মহামারীসংক্রান্ত একটি আলোচিত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেছে। কতসংখ্যক মানুষের মধ্যে কভিড-১৯-এর অ্যান্টিবডি রয়েছে? নতুন অধ্যয়নটিতে ব্যবহূত টেস্টিং কৌশলটি দীর্ঘমেয়াদে বিশেষত দুর্বল জনগোষ্ঠীর মধ্যে কভিড-১৯ ট্র্যাক করার তুলনামূলক সহজ উপায় নির্দেশ করে।
অধ্যয়নটিতে দেখা গেছে, জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি ছিল। যদিও পশ্চিম অংশে গড়ে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং উত্তর-পূর্বে গড়ে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
গবেষণাটির লেখক ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. জুলি পারসোনেট বলেছেন, গবেষণাটি নিশ্চিত করে, যুক্তরাষ্ট্রে কভিড-১৯ সংক্রমণের উচ্চ হার থাকা সত্ত্বেও অ্যান্টিবডিযুক্ত মানুষের সংখ্যা এখনো কম এবং হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূরে।
শুক্রবার ল্যানসেট মেডিকেল জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. শুচি আনন্দের নেতৃত্বে গবেষকরা ৪৬টি রাজ্যের প্রায় ১ হাজার ৩০০টি কেন্দ্রে জুলাইয়ে ডায়ালাইসিস প্রাপ্ত ২৮ হাজার ৫০০-এর বেশি রোগীর কাছ থেকে সংগ্রহ করা রক্তের প্লাজমা পরীক্ষা করেছেন। তাদের মধ্যে কেবল ৮ শতাংশের রক্তের নমুনায় কভিড-১৯ অ্যান্টিবডি ছিল। আর ডায়ালাইসিস রোগীরা মার্কিন জনগণের প্রতিনিধি না হওয়ায় গবেষকরা বয়স, লিঙ্গ, বর্ণ, জার্তি ও অঞ্চল সম্পর্কিত ক্ষেত্রে ফলাফলকে আদর্শগত করেছেন এবং মার্কিন প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যায় এটা ৯ দশমিক ৩ শতাংশ সেরোপজিটিভিটি হয়েছে।
গবেষকরা দেখতে পান রাজ্যভেদে এ হারে বিরাট ব্যবধান। সাতটি রাজ্যে শূন্য শতাংশ সেরোপজিটিভিটি পাওয়া গেছে, অন্যদিকে মহামারীর প্রথম দিকের হটস্পট নিউইয়র্ক ৩৩ শতাংশ অ্যান্টিবডি নিয়ে তালিকায় শীর্ষে।
সিএনএন
