বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির পুনরাবৃত্তি রোধে তদন্ত কমিটির ২০ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভবিষ্যতে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির মতো নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে ২০টি সুপারিশ দিয়েছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি। গতকাল দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশের কথা জানানো হয়। এতে প্রতিবেদনের সুপারিশ প্রকাশ করলেও তদন্তের স্বার্থে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করেনি মন্ত্রণালয়।

সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির সুপারিশ পড়ে শোনান নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। এসব সুপারিশের মধ্যে ঢাকা সদরঘাটের কাছে নৌযানের বার্থিং বন্ধ করা, খেয়াঘাট সরিয়ে নেয়া, ভয়েজ ডিক্লারেশন বাধ্যতামূলক করা, নৌযানের গতিসীমা নির্ধারণ, পুরনো ধাঁচের লঞ্চ তুলে দেয়া, লঞ্চে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত টিকিট বিক্রি বন্ধ করা এবং শাস্তি বাড়িয়ে নৌ আইন যুগোপযোগী করা ইত্যাদি।

তদন্ত কমিটি দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে নয়টি মতামত দিয়েছে জানিয়ে সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ময়ূর- লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড ডুবে গেছে এটা নিশ্চিত। তবে যেহেতু ঘটনায় মামলা হয়েছে, তাই দায়ী কে তা তদন্ত করে বের করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মামলা করেছে। মামলার প্রতিবেদন ১৭ আগস্ট প্রকাশ হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আইনি তদন্তের স্বার্থে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লিখিত দুর্ঘটনার কারণগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না। লঞ্চডুবির ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা যাতে স্বস্তি পান, আইনি বিচার পান সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট। তদন্ত কমিটির ২০ দফা সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুন মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল ছোট আকারের লঞ্চ এমএল মর্নিং বার্ড। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর- নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়। দুইদিনের তল্লাশি অভিযানে মোট ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন