কভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের অর্থনীতি সহনশীল: এইচএসবিসির অর্থনীতিবিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

সময়ের সঙ্গে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেভাবে ধীরে ধীরে আবার সচল হয়ে উঠছে, ঠিক তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাও ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন বহুজাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসির কো-হেড অব এশিয়ান ইকোনমিক্স রিসার্চ ফ্রেডরিক নিউম্যান। 

এইচএসবিসি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ইম্প্যাক্ট অব কভিড- ১৯ অন দ্য বাংলাদেশ ইকোনমি অ্যান্ড সিলভার লাইনিংস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ব্যাংকের গ্রাহক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার (৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে কভিড-১৯ এর বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে প্রভাব ও সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। 

নিউম্যান বলেন, বাংলাদেশ সন্তুষ্টিজনক অর্থনৈতিক সহনশীলতা দেখিয়ে চলেছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের প্রবদ্ধির মূল ছিল সুদৃঢ় নিয়মানুবর্তিতা, গ্রহণযোগ্য মুদ্রাস্ফীতি ও বহির্গামী পেমেন্টের শক্তিশালী অবস্থান। এছাড়া  আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্য এবং রেমিট্যান্স বেড়েছে যা স্থানীয় চাহিদাকে সামাল দিয়েছে। 

নিউম্যান আরো বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশ কভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তার অর্থনীতিকে বেশ ভালোভাবেই মোকাবিলা করেছে। একদিকে পোশাকখাতে বিশ্বব্যাপী চাহিদা কমায় যেমন তৈরি পোশাক শিল্পে রফতানি ও রেমিট্যান্স হ্রাস পেয়েছে; অপরদিকে জ্বালানি তেলের মূল্য পড়ে যাওয়ায় এবং আমদানিতে স্থবিরতা আসায় দেশের বাণিজ্যের অবস্থান সহনশীল রয়েছে। স্থানীয় শ্রমবাজারে দৈনন্দিন কাজের চাহিদা কমে যাওয়ায় ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশের কারণে ভোক্তারাও কম খরচ করছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকার চাহিদা পূরণে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং পক্ষান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বাত্মক সহযেগিতা দিয়ে চলেছে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিক্সন এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। 

এইচএসবিসি বাংলাদেশর সিইও মো. মাহবুবউর রহমান ছাড়াও অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, নিয়ন্ত্রক ও সরকারি সংস্থার সদস্যরা এ অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন