খাদ্য কর্মকর্তাকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ, ৩ নারীসহ গ্রেফতার ৭

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন সরকারকে অপহরণ ও জিম্মি করে ৪৭ হাজার টাকা আদায় করার মামলায় সাত আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কুদতর-ই- খোদা শুভ।

বগুড়ার শিবগজ্ঞ থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন বিকালে শিবগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল উদ্দিন সরকার সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভ নিয়ে নাগরবন্দরে খাদ্যগুদামে যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাতপরিচয় দুই নারী ও এক যুবক তাকে অটোরিকশাসহ অপহরণ করে নাটমরিচাই গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নারীদের সঙ্গে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ব্যাংকের চেকে ১০ হাজার টাকা লিখে নেয় ও বিকাশের মাধ্যমে আরো ৩৫ হাজার টাকা আদায় করে। তার পকেটে থাকা নগদ ২৩শ টাকাসহ মোট ৪৭ হাজার ৩শ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। 

ওই রাতেই কামাল উদ্দিন সরকার থানায় সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলর বিহার ইউনিয়নের নাটমরিচাই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে মাসুদ রানা (২৬), একই গ্রামের আ. মান্নানের ছেলে শাকিল আহম্মেদ (২৮), পৌন এলাকার মীরের চক মহল্লার লেবু মিয়ার ছেলে বিপ্লু আকন্দ (৩০), সংসারদিঘী গ্রামের নাছের উদ্দিনের দুই স্ত্রী তানজিলা বেগম (২৬) ও স্ত্রী মাহফুজা বেগম (৩৫), নাটমরিচাই গ্রামের দুলু মিয়ার কন্যা সাথী বেগম (৩৫) এবং সংসারদিঘী পশ্চিম পাড়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২৫)।

আদালতের মাধ্যমে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। আজ রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে বগুড়ার শিবগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার কুদতর-ই-খোদা শুভ জানান, ৩ দিনের রিমান্ডে তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জন জড়িত আছে। তাদের অচিরেই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ব্যাংকের চেক উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারে অভিযান চলছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন