ভারত থেকে ফিরলেন আরো ৩১৮ বাংলাদেশী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ভারতে আটকে পড়া আরো ৩১৮ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। গতকাল বাংলাদেশ বিমানে দিল্লি থেকে ১৫১ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসে চেন্নাই থেকে ১৬৭ বাংলাদেশী দেশে ফিরেছেন। দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, দিল্লি থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের মধ্যে ভারতে চিকিৎসার জন্য আসা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী রয়েছেন। এছাড়া দিল্লি পাঞ্জাবের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরাও ফ্লাইটে দেশে এসেছেন। দিল্লি থেকে যাত্রার আগে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরানের নেতৃত্বে দূতাবাস কর্মকর্তাদের একটি দল যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেন। চেন্নাই থেকে ফেরা যাত্রীদের অধিকাংশই রোগী তাদের সঙ্গে শুশ্রূষাকারী হিসেবে যাওয়া পরিবারের সদস্য। আগামী তিনদিনে মুম্বাই, কলকাতা দিল্লি থেকে বাংলাদেশ বিমানে আরো প্রায় ৪০০ বাংলাদেশী দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। নয়াদিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন আটকে পড়া বাংলাদেশীদের দেশে ফেরানোর জন্য ভারত সরকারের সব পর্যায়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে। যারা এখনো দেশে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন, তাদের আকাশ স্থলপথে দেশে ফেরানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে উভয় দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের দিকনির্দেশনায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। ভারত থেকে পাঠানো বিভিন্ন চিকিৎসাসামগ্রী উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নিদর্শনস্বরূপ বাংলাদেশ বিমানের সৌজন্যে দেশে আনা হয়েছে। সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ ভুল বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন করছেন। তারা ভারতে লকডাউনের আংশিক শিথিলতার সুযোগে দেশে ফেরানোর প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে সুবিধা লাভের চেষ্টা করছেন। কিন্তু হাইকমিশনের মাধ্যমে ভারত সরকারের অনুমোদন গ্রহণ ছাড়া আন্তঃরাজ্য ভ্রমণে পথিমধ্যে আইনগত সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রত্যাবর্তন-সংক্রান্ত সব তথ্য হাইকমিশনের ওয়েবসাইট ফেসবুক পেজে নিয়মিতভাবে তুলে ধরা হচ্ছে। স্থলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনুমতির জন্য পালনীয় নিয়মাবলি এরই মধ্যে জানানো হয়েছে। হেল্পলাইনগুলোও চালু রয়েছে। তাই সবাইকে হালনাগাদ তথ্যের জন্য  হাইকমিশন প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিগুলো অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন