থাইল্যান্ডে উন্মত্ত শুটআউটে ঘাতক সৈনিক, ২০ জনের মৃত্যু

বণিক বার্তা ডেস্ক

থাইল্যান্ডে এক বন্দুকধারী সৈনিকের হামলায় কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অনেকে। দেশটির নাখোন রাচাসিমা শহরে (কোরাট নামেও পরিচিত) গতকাল ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামলাকারীকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছিল দেশটির পুলিশ। খবর বিবিসি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, হামলাকারী জাকরাপান্থ থোম্মা থাই সেনাবাহিনীর একজন জুনিয়র অফিসার। সেনাঘাঁটি থেকে চুরি করা বন্দুক গুলি নিয়ে সন্দেহভাজন ওই সৈনিক হামলা চালায়। এর আগে ঘাঁটিতে নিজের কমান্ডিং অফিসারকে হত্যা করে ঘাতক জাকরাপান্থ থোম্মা। এরপর রাজধানী ব্যাংককের উত্তর-পূর্বে এক বৌদ্ধ মন্দির শপিং সেন্টারে হামলা চালায় ওই সৈনিক।

স্থানীয় ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, সন্দেহভাজন ওই সৈনিক ব্যাংককের মুয়াং ডিস্ট্রিক্টের টার্মিনাল ২১ শপিং সেন্টারের সামনে অনেকটা হামভির মতো দেখতে একটি গাড়ি থেকে নেমে আকস্মিক গুলি চালানো শুরু করে। সময় আশপাশের মানুষজন ছুটে পালাচ্ছিল।

আরেকটি ফুটেজে ওই শপিং সেন্টার ভবনের বাইরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, হামলাকারী সৈনিকের করা গুলিতে একটি গ্যাসের ক্যানিস্টার বিস্ফোরিত হয়ে সেখানে আগুন ধরে যায়।

স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বর্তমানে ওই শপিং সেন্টারটি ঘিরে রেখেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, সন্দেহভাজন ওই ঘাতক সেখানেই লুকিয়ে রয়েছে। সেখানে তার অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করেছে পুলিশ।

ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন ভবনের ভেতরে কয়েকজনকে জিম্মি করে রেখেছে। যদিও তথ্য নিশ্চিত করে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া ভবনের মধ্য থেকেও পরবর্তী সময়ে গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে।

এছাড়া হামলাকারীর উদ্দেশ্যও এখনো পরিষ্কার নয়। সন্দেহভাজন ওই সৈনিক আত্মসমর্পণ করা উচিত কিনা, ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়েছে। এর আগে ফেসবুকে একটি পিস্তল তিন সেট বুলেটসহ নিজের একটি ছবি পোস্ট করে সন্দেহভাজন। ওই পোস্টে আরো বলা হয়, উন্মত্ত হয়ে ওঠার সময় এখনই। মৃত্যু এড়ানোর ক্ষমতা নেই কারো।বর্তমানে তার ফেসবুক পেজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

ব্যাংকক পোস্ট আরো জানিয়েছে, হামলাকারীর মৃত কমান্ডিং অফিসারের নাম কর্নেল আনান্থারোত ক্রাসায়ে। এছাড়া সেনাঘাঁটিতে আরো দুজনকে হত্যা করেছে ওই ঘাতক সৈনিক। এদের মধ্যে একজন ৬৩ বছর বয়সী বৃদ্ধা। নিহত আরেকজন পেশায় সৈনিক।

এদিকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান ওচা বর্তমানে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন বলে সংশ্লিষ্ট এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি আহতদের জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দেয়ার জন্য স্থানীয় জনসাধারণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন থাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন