পারিকালচার: নগর কৃষির বিপ্লব

পারিকালচারের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে ২০২০ সালের মধ্যে ১০০ হেক্টর এলাকায় সবুজায়ন। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য কমে যাওয়ার গতি কমানো, শহরবাসীকে একটু প্রকৃতির সান্নিধ্য দেয়া এবং একই সঙ্গে কিছু কর্মসংস্থান সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করা

প্যারিসের অন্ধকার স্থানগুলো ক্রমেই তথাকথিত প্যারি মাশরুমের দখলে চলে যাচ্ছে। শহরের ঝলমলে নিয়ন আলোর নিচের অন্ধকারে বেড়ে ওঠা মাশরুমই চলে যাচ্ছে নাগরিকদের খাবার টেবিলে। শুধু মাশরুম নয়, প্যারিসের ছাদবাগান এখন ইউরোপের জন্য দৃষ্টান্ত। বছর তিনেক আগে নগর কর্তৃপক্ষ বছরে দেড় হাজার টন ফল, শাকসবজি, সাত টন মাছ কয়েক লাখ ফুল, মধু উৎপাদনের পাশাপাশি নগর কৃষিতে অন্তত ২৫০ লোকের কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করেপারিকালচারনামে এক প্রকল্প। প্রকল্প এরই মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

নগর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগের আগে থেকেই প্যারিসে কৃষিভিত্তিক ছোট ছোট স্টার্টআপ উঁকি দিতে শুরু করে। এর মধ্যে একটি সাইক্লোপনিকস। এরা মূলত মাশরুম চাষ করে। স্টার্টআপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্যঁ নোয়েল গার্ত্জ বলেন, ১৯৩০-এর দশকে প্যারিসে ব্যক্তিগত গাড়ি এসে শ্যাম্পিনঁ দে পারি বা বাটন মাশরুম প্রায় হাওয়া করে দিয়েছিল। সাইক্লোপনিকস এখন লা কাভানেতে একটি পরিত্যক্ত কার পার্কিং এলাকাকে ভূগর্ভস্থ অর্গানিক মাশরুম খামারে পরিণত করেছে। এখানে বিপুল পরিমাণ বাটন মাশরুম উৎপাদন করা হয়। এতে ব্যবহার করা হয় শহরের ঘোড়াশালের গোবর।

জ্যঁ নোয়েল বলেন, এখন ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমছে, সে স্থান দখল করছে পারি মাশরুম। লা কাভানেতে পোর্ত দে লা চাপেলের কাছে কংক্রিটের নিচে ব্যাপকভিত্তিক মাশরুম আবাদের উদ্যোগ নিয়েছে সাইক্লোপনিকস। আগামী মার্চে শুরু হবে কার্যক্রম।

লা কাভানের বাকি এলাকাগুলোতে অন্ধকারে চাষ হচ্ছে শিতাক অয়েস্টার মাশরুম। প্রতিদিন ১০০-২০০ কেজি মাশরুম উৎপাদন হচ্ছে এসব অন্ধকার কুঠুরি থেকে। মাশরুম বাইসাইকেলে করে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন মুদি দোকান রেস্তোরাঁয়।

লা কাভানে হচ্ছে প্যারিস নগর কর্তৃপক্ষেরপারিকালচারপ্রকল্পের একটি অংশ। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের যাত্রা। প্যারিস শহরের পরিত্যক্ত জায়গাগুলোকে আবাদযোগ্য করে তোলাই এর উদ্দেশ্য।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন