ব্যবসায়ীদের অতি লোভ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তায় বাধা: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ব্যবসায়িক অতি লোভ ত্যাগ না করতে পারলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অনেকটাই কঠিন হবে। অতি লোভ সংবরণ করলেই আমরা আমাদের উদ্দেশ্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তা অর্জন করতে সক্ষম হব। পাহারা দিয়ে কাউকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, যদি তার বিবেক, মন তাকে পাহারা না দেয়।

গতকাল রাজধানীর বিজয়নগরের হোটেল-৭১- বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত ঢাকারহোটেল-রেস্তোরাঁ, বেকারি মিষ্টির কারখানার গ্রেডিংপ্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের যারাগ্রেড পেলেন আমরা আশা করি সরকারের দেয়া এই স্বীকৃতিটুকু ধরে রাখবেন। সামনের বছর+’ গ্রেড পাবেন। রেস্তোরাঁর ভালো মান বজায় রাখতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে শুধু খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। যারা ব্যবসা করেন তারা নিজেদের মানসিক তৃপ্তির জন্য হলেও ভোক্তার হাতে নিরাপদ খাদ্য তুলে দেবেন।

২০১৮ সালের এপ্রিল কস্তুরী হোটেলে স্টিকার লাগিয়ে নিরাপদ খাদ্য কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন সচিবালয় এলাকায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে উদ্যোগ চালু করা হয়। গতকালের অনুষ্ঠানে মোট ১৩টি’, নয়টিবি সাতটিসিগ্রেডের স্টিকার দেয়া হয়।

জানা গেছে, রেস্তোরাঁয় সবুজ স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এখানকার মান + ( প্লাস) অর্থাৎ উত্তম। কমলা রঙের স্টিকার দেখলে বুঝতে হবে এটি অনিরাপদ। কমলা স্টিকারযুক্ত রেস্তোরাঁগুলো এক মাসের মধ্যে মান ভালো না করলে বাতিল হবে তাদের লাইসেন্স। ভোক্তা ভোজনরসিকদের স্বার্থে+’, ‘’, ‘বি’, ‘সি’—এই চার ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে ঢাকা মহানগরীর হোটেল রেস্তোরাঁকে। গ্রেডিং সিস্টেমের আওতায় খাবারের মান, বিশুদ্ধতা, পরিবেশ, ডেকোরেশন, মনিটরে রান্নাঘরের পরিবেশ দেখার ব্যবস্থা ওয়েটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ভিত্তিতে রেস্তোরাঁগুলোয় চার ক্যাটাগরিতে চিহ্নিত করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন