সব ধরনের স্থায়ী সম্পদ
পুনর্মূল্যায়নের পর বীমা খাতের কোম্পানি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি
লিমিটেডের সম্পদ বেড়েছে ৩৬৯ কোটি টাকা। ফেমস অ্যান্ড আর চার্টার্ড
অ্যাকাউন্ট্যান্টসের মাধ্যমে কোম্পানিটি তার সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেছে। কোম্পানিটির
পর্ষদ নিরীক্ষকের পুনর্মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে
এ তথ্য জানা গেছে।
পুনর্মূল্যায়নের পরে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮
শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য
(এনএভিপিএস)
দাঁড়িয়েছে ১২৯ টাকা ৪০ পয়সায়, যা
আগে ছিল ৬৮ টাকা ২৯ পয়সা।
পপুলার লাইফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ও প্রধান অর্থ কর্মকর্তা
(সিএফও)
কাজী মো.
ফজলুল করিম বণিক বার্তাকে জানান, প্রথমবারের
মতো তারা সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করেছে। এর মধ্যে কোম্পানির ফ্লোর স্পেস, জমি, ভবন, ফাঁকা
জমিসহ সব ধরনের স্থায়ী সম্পদ রয়েছে। হিসাবমান অনুসারে প্রথমবার পুনর্মূল্যায়ন করার
তিন বছর পর আবারো পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে বলে জানান তিনি।
সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত
আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে
পপুলার লাইফ। গেল হিসাব বছর কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৫৫ পয়সা,
আগের বছরে যা ছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর
শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য
(এনএভিপিএস)
দাঁড়ায় ৬৮ টাকা ২৯ পয়সা, এক
বছর আগে যা ছিল ৮০ টাকা ৫২ পয়সা।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব
বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় পপুলার
লাইফ ইন্স্যুরেন্স। তার আগের দুই হিসাব বছরেও (২০১৬ ও ২০১৭) ৪০ শতাংশ হারে নগদ
লভ্যাংশ দেয় তারা। ২০১৩ ও ২০১৪ হিসাব বছরে ৪০ শতাংশ করে স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন
কোম্পানির শেয়ারহোল্ডাররা।
সর্বশেষ রেটিং অনুসারে, পপুলার
লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে
‘ডাবল এ প্লাস’ ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’। ২০১৭ সালের
৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে
ন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিংস লিমিটেড
(এনসিআর)।
ডিএসইতে গতকাল পপুলার লাইফের শেয়ার
সর্বশেষ ৯১ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে শেয়ারটির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দর
ছিল যথাক্রমে ৭৫ টাকা ও ১২৫ টাকা ২০ পয়সা।
২০০৫ সালে শেয়ারবাজারে আসা
কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি ৪২ লাখ ৮০
হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬ কোটি ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৫৮। এর ৩০ দশমিক
৩০ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে।
এছাড়া ১৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী,
দশমিক ২১ শতাংশ বিদেশী ও ৫৩ দশমিক ৭২ শতাংশ
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে।