আরো সুদহার কর্তনের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে ভারতের মন্থর প্রবৃদ্ধি

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভারতের ক্রমাগত মন্থর হতে থাকা অর্থনীতি চলতি সপ্তাহে মুদ্রানীতি আরো শিথিলের পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশমিক শতাংশে নেমে আসতে দেখা গেছে। এদিকে চলতি সপ্তাহে মুদ্রানীতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) খবর ব্লুমবার্গ।

ভারতের মিনিস্ট্রি অব স্ট্যাটিস্টিক অ্যান্ড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশনের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে দশমিক শতাংশ। এর মধ্য দিয়ে দেশটির প্রবৃদ্ধি ২০১৩ সালের পর প্রথমবার শতাংশের নিচে নামল।

দেশের অর্থনীতির লাগামহীন পতন রোধ করতে এরই মধ্যে চলতি বছর পাঁচ দফায় ১৩৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কমিয়েছে গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বাধীন আরবিআই, যা এশিয়ার কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি সুদহার কর্তন।

মুহূর্তে নীতিনির্ধারকদের মনোযোগের কেন্দ্রে রয়েছে এশিয়ার তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতিটির পুনরুদ্ধার। ফলে গত সপ্তাহের শেষে প্রকাশিত পরিসংখ্যান তাদেরকে প্রবৃদ্ধির জন্য আরো পদক্ষেপ গ্রহণের দিকেই ঠেলে দিয়েছে।

মুম্বাইয়ের ইয়েস ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান অর্থনীতিবিদ শুভদা রাও বলেন, দুর্বল পরিসংখ্যান আসলে প্রবৃদ্ধির জন্য নীতির দিকে মনোযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে। আগামী বৈঠকে আরবিআই আবারো ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদহার কমাবে বলে আমরা আশা করছি।

সর্বশেষ প্রান্তিকের প্রবৃদ্ধি অবনমনের পেছনে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের সংকোচন বিনিয়োগ হ্রাস দায়ী। কেবল সরকারি ব্যয়ই অর্থনীতিকে দাঁড়িয়ে থাকতে সহায়তা করেছে। দেশটিতে বেসরকারি ব্যয় এখনো কম রয়েছে।

ভারতের অর্থনীতির বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের সূচক থেকে দেখা গেছে, চলতি বছরের অক্টোবরে পতন আরো তীব্র হয়ে উঠেছে। নিস্তেজ অর্থনীতির কারণে আরবিআই চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দশমিক শতাংশ থেকে কমাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে এরই মধ্যে ব্লুমবার্গ মতামত জরিপে অংশগ্রহণকারী অর্থনীতিবিদরা চলতি অর্থবছরের জন্য প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস দশমিক শতাংশে নামিয়ে এনেছেন।

মুম্বাইয়ের বার্কলেস ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ রাহুল বাজোরিয়া বলেন, আমরা আশা করছি কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিসংখ্যান বনাম পূর্বাভাসের নিম্নমুখী চমকগুলো বিবেচনা করবে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে প্রত্যাশার চেয়ে তীব্র মন্থরগতির কথা স্বীকার করবে। অর্থবছরের বাকি সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রেপো রেট ৪০ বেসিস পয়েন্ট কমাবে বলে ধারণা করছেন তিনি।

মুহূর্তে আরবিআইয়ের রেপো রেট দশমিক ১৫ শতাংশে রয়েছে। তবে আগামী ১২ মাসে তা কমে শতাংশ হবে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। অন্যদিকে আগামী মাসগুলোয়ও প্রবৃদ্ধিতে নিম্নমুখী গতি অব্যাহত থাকবে বলে মার্চ নাগাদ (অর্থবছরের শেষ) রেপো রেট দশমিক ৭৫ শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস করেছেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতি শক্তিশালী করতে ভারত সরকারের আর্থিক প্রণোদনা করপোরেট কর হ্রাসসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ সত্ত্বেও পুনরুদ্ধারের কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না।

ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের পরিবর্তে ঋণ পরিশোধে আগ্রহী হওয়ায় বিনিয়োগ কমেছে, অন্যদিকে ভোক্তারা ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরেছেন। তাদের মধ্যে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন