কৃষকদের ক্ষতি এড়াতে ভারত সরকার ডাল আমদানিতে কোটা বেঁধে দিয়েছে। শরতের শেষ দিকে অসময়ে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এবারের মৌসুমে দেশটির ডাল উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা অনুপাতে সরবরাহ কম থাকায় খাদ্যপণ্যটির দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে পণ্যটির দামে ভারসাম্য ফেরাতে বাড়তি ডাল আমদানি করতে চাচ্ছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। খবর ইকোনমিকস টাইমস।
উড়াদ, তুর ও হলুদ মটর মিলিয়ে মোট পাঁচ থেকে ছয় লাখ টন অতিরিক্ত ডাল আমদানি করতে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা।
মুম্বাইয়ের পাইকারি বাজারে এবার উড়াদ ডালের দাম রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। গত এক মাসেই কৃষিপণ্যটির দাম ৩০ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ রুপিতে উন্নীত হয়। একই সময়ে মুগ ডালের দাম ১৫ শতাংশ বেড়ে কেজিপ্রতি ৬৫ রুপিতে উঠেছে।
ইন্ডিয়ান পালস অ্যান্ড গ্রেইনস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি বিমল সিং জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তারা নির্দিষ্ট কোটার চেয়ে অতিরিক্ত ডাল আমদানির অনুমতি চেয়েছেন। উড়াদ ও তুর প্রত্যেক ধরনের ডালে দুই লাখ টন বাড়তি আমদানির প্রত্যাশা করছেন তারা। এছাড়া সরকারের কাছে অতিরিক্ত এক থেকে দুই লাখ টন হলুদ মটর আমদানির অনুমতিও আশা করছেন তারা। এ ধরনের পদক্ষেপ খাদ্যপণ্যটির দামে অস্থিরতা এড়াতে সাহায্য করবে বলে মনে করেন তিনি।
ইন্দোরের অল ইন্ডিয়া মিলস অ্যাসোসিয়েশনও সরকারের কাছে মিয়ানমার থেকে উরাদ ডাল আমদানির অনুমতি চেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সুরেশ আগারওয়াল জানান, আগামী জানুয়ারির মধ্যে সরকার অতিরিক্ত ডাল আমদানির অনুমতি দেবে বলে প্রত্যাশা রয়েছে তাদের।
দেশটির খাতসংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা জানান, ভারতে ডালের দাম রেকর্ড বেড়েছে। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। রবি মৌসুমের ফসল সংগ্রহ শুরু হলে পণ্যটির দাম সাধ্যের মধ্যে আসার কথা।
ইন্ডিয়া নিবেল কমোডিটির পরিচালক মনোজ কুমার জৈন বলেন, দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে সেপ্টেম্বর থেকে ডালের দাম ক্রমেই বাড়ছে। আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত এ ধারা বজায় থাকবে। এরপর রবি ফসল তোলা শুরু হলে দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনা আছে।
দেশটির জাতীয় কৃষি সমবায় বিপণন ফেডারেশন কর্তৃক ডাল বিক্রির বিষয়টিও পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বিশ্লেষকরা। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির হাতে সব মিলিয়ে ৩৪ লাখ ২৫ হাজার টন ডাল মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে ১৯ লাখ টন চানা, ছয় লাখ টন তুর, ৪ লাখ ৫০ হাজার টন