বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের
ঋণমান ‘এ থ্রি’। ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও
প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি
বাংলাদেশ লিমিটেড (সিআরএবি)। ঢাকা স্টক
এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য
শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে বীকন ফার্মার
পরিচালনা পর্ষদ। ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনার জন্য ২৪ ডিসেম্বর
ময়মনসিংহের ভালুকায় নিজেদের নিবন্ধিত কার্যালয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা
হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল গতকাল।
সমাপ্ত হিসাব বছরের কোম্পানিটির
শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫৫ পয়সা। ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি
নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯০ পয়সা,
যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ টাকা ৯৯ পয়সা।
২০১৮ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের
জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় বীকন ফার্মা। আলোচ্য সময়ে
কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫৫ পয়সা ও এনএভিপিএস ১২ টাকা ৯৯ পয়সা। ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ
নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। সে সময় কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ৪৫ পয়সা।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন
অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বীকন
ফার্মার ইপিএস হয়েছে ১৮ পয়সা,
যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ পয়সা। ৩০
সেপ্টেম্বর কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭ পয়সা।
২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ
ওষুধ কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ২৩১ কোটি টাকা।
রিজার্ভে রয়েছে ৬৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ১০ লাখ
টাকা। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালক ৩০ শতাংশ,
প্রতিষ্ঠান ১৮ দশমিক ১৭ শতাংশ ও সাধারণ
বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৫১ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার।
সর্বশেষ নিরীক্ষিত ইপিএস ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারটির মূল্য-আয় অনুপাত বা
পিই রেশিও ৫১ দশমিক ২৭, প্রান্তিক ইপিএসের ভিত্তিতে যা ৫৫ দশমিক ২৯।
