ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তায় আগামী বছরের
মধ্যে বিভিন্ন করপোরেট সংকটে পড়া,
মুনাফা ক্ষতিগ্রস্ত ও উৎপাদন বিনিয়োগ কমে আসার
পূর্বাভাস করেছে কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি (সিবিআই)। ফলে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ব্রেক্সিটের ফলে যতটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
বলে পূর্বাভাস করা হয়েছিল, তা বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খরব গার্ডিয়ান।
ব্যবসায়ী গ্রুপের সংগঠন সিবিআই
পরিচালিত প্রতিবেদনে ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শুল্ক ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার
পরিণতি নিয়ে বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ফলে ইইউর বড় বাজার হাত
ছাড়া করায় দেশটির অধিকাংশ কোম্পানি আগামী বছর বিনিয়োগ কমাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে
সিবিআইয়ের প্রতিবেদনে।
ব্রেক্সিটের নির্ধারিত তারিখ ৩১
অক্টোবরের প্রায় ১০ দিন আগে পরিচালিত এ প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারীরা আগামী বছর নতুন
মেশিনারি ও প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম ক্রয় কমাবে বলে জানিয়েছেন। ভোক্তাদের এ
ধরনের সাবধানী অবস্থান ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর কখনো দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে
সিবিআই।
তবে এরই মধ্যে গত তিন মাসে আগের
প্রান্তিকের তুলনায় অনেকগুলো কোম্পানির বিক্রি ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা
২০১৫ সালের পর সর্বোচ্চ। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির নির্মাণ শিল্প ও
খুচরা খাত। অন্যদিকে ‘হুইটব্রেড’ হোটেল গ্রুপ, নির্মাণ সরবরাহ কোম্পানি
‘ট্র্যাভিস পেরকিনস’ ও গাড়ির ডিলার ‘পেনড্রাগন’ ব্রেক্সিট
অনিশ্চয়তার কারণে নিজেদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তার কারণে
কোম্পানিগুলো ব্যয়সংকোচন করায় নিজেদের বুকিং কমেছে বলে জানিয়েছে হুইটব্রেড
কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে একই কারণে ভোক্তারা ব্যয় কমিয়ে আনায় গাড়ির মতো বড় ধরনের পণ্য
বিক্রি কমেছে বলে জানিয়েছে পেনড্রাগন। ব্রেক্সিট অনিশ্চয়তার কারণে দেশটির নির্মাণ
ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাত দীর্ঘমেয়াদি মন্দায় আটকে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই
প্রতিবেদনে।