হোয়াটসঅ্যাপে লঘুজ্ঞান-গুরুজ্ঞান

আন্দালিব রাশদী

 

[হোয়াটসঅ্যাপে পেয়েছি, ধরে নিচ্ছি কপিরাইট সর্বজনীন। কিন্তু অনুবাদের পুরোটাই আমার, এটি কিন্তু কপিরাইটবর্জিত নয়। হোয়াটসঅ্যাপে লঘুজ্ঞান-গুরুজ্ঞান যারা পাঠিয়েছেন, তাদের কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা]

নেলসন ম্যান্ডেলার জীবনের একটি ঘটনা

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর আমি আমার প্রতিরক্ষার নিকটস্থ সদস্যদের নিয়ে শহরের রাস্তায় হাঁটতে বেরোলাম, সেখানে একটি রেস্তোরাঁয় দুপুরের খাবার খাব। আমরা শহরের ভেতরের দিকে একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকে সবাই যার যার মতো করে খাবারের আদেশ দিই। কিছুক্ষণ পর ওয়েটার যখন আমাদের খাবার নিয়ে আসে আমার চোখে পড়ে একজন খদ্দের একাকী একটি টেবিলে খাবারের অপেক্ষা করছেন।

আমি আমার সৈন্যদের একজনকে বলি, যাও ওই ভদ্রলোককে তার খাবারসহ আমাদের সঙ্গে এখানে যোগ দিতে বলো। সৈন্য তাই করল। তিনি আমার ইশারায় আমার পাশে এসে বসলেন এবং আমাদের সঙ্গে খেতে শুরু করলেন। কিন্তু সারাক্ষণই তার হাত কাঁপছিল, ততক্ষণে আমাদের সবার খাবার শেষ হলো, তিনি চলে গেলেন। একজন সৈন্য বলল, লোকটি খুব অসুস্থ মনে হয়েছে, তার হাত কাঁপছিল।

আমি বললাম, মোটেও না। আমি যে কারাগারে বন্দি ছিলাম, তিনি ছিলেন সেখানকার গার্ড। আমাকে প্রতিদিন নির্যাতন করা হতো, আমি চিত্কার করে উঠতাম, খাবার জন্য একটু পানি চাইতাম। প্রতিবার লোকটিই আসত এবং পানির বদলে আমার মাথার ওপর প্রস্রাব করত।

হয়তো তিনি ভেবেছিলেন যেহেতু আমি এখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট, তাকে হয়তো নির্যাতন করে কিংবা জেলে ভরে তার ওপর প্রতিশোধ নেব। কিন্তু এটা আমার চরিত্রও নয়, নৈতিকতার অংশও নয়। প্রতিশোধের মানসিকতা রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে। সহ্য করার মানসিকতা ক্ষমা রাষ্ট্র গড়ে তোলে।

 

সবচেয়ে ধনীর চেয়েও ধনী

কেউ একজন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধনী বিল গেটসকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, পৃথিবীতে এমন কেউ কি আছেন, যিনি আপনার চেয়েও বেশি ধনী?

তিনি বললেন, আমার চেয়ে ধনী একজন আছেন।

তারপর তিনি গল্পটি বললেন:

কাহিনীটা সে সময়ের, যখন আমি ধনীও ছিলাম না, বিখ্যাতও নই। নিউইয়র্ক এয়ারপোর্টে একজন খবরের কাগজ বিক্রেতাকে দেখি। আমি একটি খবরের কাগজ হাতে নিয়ে পকেট হাতড়ে দেখি কেনার মতো পর্যাপ্ত খুচরা নেই। কাজেই কেনার চিন্তা বাদ দিয়ে কাগজটি তার হাতে ফিরিয়ে দিই।

আমি তাকে বলি যে আমার হাতে প্রয়োজনীয় খুচরা নেই। তিনি বললেন, নিয়ে যান, আমি এটা আপনাকে বিনে পয়সাতেই দিচ্ছি। তার পীড়াপীড়িতে আমি খবরের কাগজ নিয়ে সেখান থেকে সরে আসি।

ঘটনাচক্রে দু-তিন মাস পর আমি আবার একই এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করি। আমি সেই খবরের কাগজ বিক্রেতার কাছে যাই, আবারো আমার খুচরার ঘাটতি। তিনি আবার আমাকে বিনে পয়সায় খবরের কাগজটি দিতে চাইলেন। আমি বললাম যেহেতু আমার হাতে খুচরো নেই, আমি এটা নিতে পারি না।

তিনি বললেন, আপনি নিতে পারেন, আমার লাভের অংশ থেকে আপনাকে দিচ্ছি। এর জন্য আমার কোনো ক্ষতি হবে না।

আমি নিলাম।

১৯ বছর পর আমি বিখ্যাত মানুষের কাছে পরিচিত হয়ে উঠলাম। হঠাৎ একদিন খবরের কাগজওয়ালার কথা মনে হলো। আমি তার খোঁজ করতে থাকলাম এবং দেড় মাস পর তাকে পেলাম।

আমি জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি আমাকে চেনেন?

হ্যাঁ, আপনি বিল গেটস।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন