দুগ্ধপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের শুরুতে আন্তর্জাতিক নিলামে দুগ্ধপণ্যের বাজার খুবই নিম্নমুখী ছিল। তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করে। সে ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডে (জিডিটি) সর্বশেষ নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচকে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রয়েছে। নিলামে দুগ্ধপণ্যের গড় মূল্যসূচক আগের নিলামের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়েছে। নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো মূল্যসূচকে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। খবর নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।

জিডিটির মূল্যসূচক অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক নিলামে প্রতি টন দুগ্ধপণ্যের গড় মূল্য ছিল হাজার ৩৩০ ডলার। যেখানে এর আগের নিলামে মূল্য ছিল হাজার ৩০৬ ডলার। তবে সময় দুগ্ধপণ্যের বিক্রি কিছুটা কমেছে। সর্বশেষ নিলামে ৩৮ হাজার ৭১২ টন দুগ্ধপণ্য বিক্রি হয়েছে। যেখানে এর আগের নিলামে বিক্রি ছিল ৩৮ হাজার ৭১৬ টন।

জিডিটি মূল্যসূচক অনুযায়ী, পূর্ণ ননিযুক্ত গুঁড়া দুধের দাম স্থিতিশীল ছিল। সময় প্রতি টন গুঁড়া দুধ বিক্রি হয় হাজার ১৩৩ ডলারে। রেনেট কেসিনের দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে প্রতি টন হাজার ৯১৬ ডলারে বিক্রি হয়েছে। ননিবিহীন গুঁড়া দুধের দাম দশমিক শতাংশ বেড়ে প্রতি টন বিক্রি হয় হাজার ৭৪৩ ডলারে। নির্জল দুধের মূল্য দশমিক শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি বিক্রি হয়েছে হাজার ৬৫ ডলারে। তবে ল্যাকটসের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আগের নিলামের মতো প্রতি টন ৭৮৫ ডলারে বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে এসব পণ্যের দাম বাড়লেও কমেছে পনির মাখনের দাম। জিডিটি মূল্যসূচক অনুযায়ী, মাখনের দাম দশমিক শতাংশ কমে প্রতি টন বিক্রি হয়েছে হাজার ১০৫ ডলারে। পনির মূল্য দশমিক শতাংশ কমে প্রতি টন বিক্রি হয় হাজার ৬৩৬ ডলারে।

মূল্যসূচক বাড়ার কারণ হিসেবে নিউজিল্যান্ড এক্সচেঞ্জে ডেইরি ডেরিভেটিভস মার্কেটের বিশ্লেষক রবার্ট গিবসন মনে করেন, উত্তর এশিয়ার বাজারে দুগ্ধপণ্যের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে অঞ্চলে গুঁড়ো দুধের চাহিদা বড় আকারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জিডিটি নিলামে দুগ্ধপণ্যের মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

গিবসনের মতে, খামারি পর্যায় দুধের দাম বাড়তে থাকায় গুঁড়া দুধের দামও বেড়েছে। খামারি পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির কারণেই ননিযুক্ত গুঁড়া দুধের প্রতি টনের দাম হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে ননিবিহীন গুঁড়ো দুধের দাম টানা চতুর্থ সেশনের মতো বেড়েছে, যা ২০১৫ সালের পর সর্বোচ্চ।

নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বের একমাত্র দুগ্ধপণ্যের নিলাম সর্বশেষ ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টা ১২ মিনিট ধরা চলা নিলামে নিবন্ধতকৃত ক্রেতার সংখ্যা ছিল ৫০৫ জন। যার মধ্যে নিলামে অংশ নেন ১৯৯ জন। তবে ১৪টি পর্বে অনুষ্ঠিত নিলামে ১৪২ জন ক্রেতা দুগ্ধপণ্য কিনতে সক্ষম হন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন