বৈষম্যহীন
বাংলাদেশ গড়তে ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তরুণ
প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ইয়ুথ ফর পলিসি আয়োজিত বৈষম্যহীন
বাংলাদেশের তারুণ্যের ইশতেহার শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এ দাবি উত্থাপন করেন।
বৈষম্যবিরোধী
আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় এ তরুণরা দেশের ১৮টি জেলায় ২০টি ফোরামের মাধ্যমে পাঁচ
শতাধিক স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। আলোচনায় তারা শিক্ষাক্রম সংস্কার,
কোটা সংস্কার, দুর্নীতি প্রতিরোধ, বাকস্বাধীনতা, তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যাংক সুবিধা
এবং আহতদের সুচিকিৎসাসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন। আলোচনা থেকে উঠে আসা ইস্যুগুলো নিয়ে
১১ দফার একটি ইশতেহার তৈরি করা হয়েছে। এটি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়কারী,
জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং জাতীয় লিয়াঁজা কমিটির প্রতিনিধিদের কাছে উপস্থাপন করা হয়।
সভায় ইশতিয়াক
আহমেদ ও জি এম রাকিব শিক্ষাক্রম সংস্কারে জোর দেন। নিলয় সাহা ও রংখুইং স্রো কোটা
সংস্কারের দাবি জানান। আসিফ ইকবাল দুর্নীতির চক্রের স্থায়ী অবসান চান। সাইফুল
ইসলাম তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থার সংস্কার দাবি করেন। তানজিলা ইসলাম
ও কিফায়াত আরা রিফা নীতিনির্ধারণে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চান। নিয়ামত
উল্লাহ ও উম্মে সালমা নেহা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব দেন। সিফাত এইচ সৈকত
ও জাহেদ হাসান ন্যায্য বাজার ব্যবস্থা চান। জান্নাতুল ফেরদৌসী ও ইতি চৌধুরী পরিবেশ
সুরক্ষায় কঠোর নজরদারির কথা বলেন। হানজালা সরকার ইন্টারনেট ব্যবহারে সমান সুযোগের
দাবি জানান। মার্জিয়া স্বর্ণা ও নিশাত আনজুম স্বাস্থ্যব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ও
দুর্নীতিমুক্ত করার দাবি তোলেন।