বেভারেজ বা কোমল পানীয় শিল্পের বিকাশ, এ খাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ উৎসাহিত করা এবং সরকারের রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধিতে করনীতিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা জরুরি বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। বুধবার (১৫ মে) বিকেলে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই এবং বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে একথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় বেভারেজ শিল্পের সম্ভাবনা, সমস্যা ও সমাধানের উপায় সুস্পষ্ট, তথ্যভিত্তিক এবং লিখিত আকারে সরকারের কাছে তুলে ধরার পরামর্শ দেন তিনি। এফবিসিসিআই তাদের সমস্যাগুলো নিয়ে নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে জোরালোভাবে আলোচনা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বেভারেজ শিল্পের প্রতিনিধিদের তথ্য অনুযায়ী-এ শিল্পের তাৎক্ষণিক সমস্যা হলো আকস্মিক করের চাপ। শিল্প সম্প্রসারণ এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে কোমল পানীয় বা বেভারেজ খাতের কর হার সমন্বয় করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে এ খাতের স্টেকহোল্ডারদের উদ্যোগী হয়ে স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ মেয়াদী কর্ম কৌশল নির্ধারণ এবং সরকারের কাছে সেটি বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরার পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই'র সিনিয়র সহ-সভাপতি।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য মহসিনা ইয়াসমিন বলেন, হঠাৎ করে পলিসি পরিবর্তন করে একটি প্রতিষ্ঠিত শিল্পকে হুমকিতে ফেলে দেয়ার যৌক্তিকতা নেই। এতে বিদেশী বিনিয়োগ আতঙ্কিত হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বেভারেজ শিল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদী কর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান এ শিল্পের প্রতিনিধিরা। বেভারেজ শিল্পের উৎসে কর ৩ শতাংশে থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণ; বোতলজাত পানির (মিনারেল ওয়াটার) সম্পূরক শুল্ক শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন তারা।
আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট-এর সিইও ফেরদৌস আরা বেগম, এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীরসহ অন্যান্যরা।