ভারতের ইংরেজি গান প্রত্যাশিত শ্রোতা পাচ্ছে না

ফিচার ডেস্ক

ছবি: শ্রুতি হাসানের ফেসবুক

সিনেমা দিয়েই পরিচিত শ্রুতি হাসান। তামিল, তেলেগু ও হিন্দি ভাষায় বেশকিছু ব্যবসাসফল সিনেমা এসেছে তার হাত ধরে। তবে এ অভিনেত্রীর আরো একটা পরিচয় রয়েছে সংগীত তারকা হিসেবে। মাত্র পাঁচ বছর থেকেই জড়িয়ে আছেন সংগীতের সঙ্গে। গানের প্রতি তীব্র ভালোবাসার সূত্র ধরে এর মধ্যেই গেয়েছেন কিছু ইংরেজি গানও। তবে শ্রুতি মনে করেন, ভারতের ইংরেজি গান তার প্রত্যাশিত শ্রোতা খুঁজে পায়নি এখন পর্যন্ত।

সম্প্রতি সংগীত তারকা অনন্যা বিরলা সংগীত জগৎ ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আবেদন জানিয়েছেন, ভারতে নির্মিত ইংরেজি গানকে যেন একটা সুযোগ দেয়া হয়। ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই দেশে ইংরেজি গানের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন শ্রুতি হাসান। ২০২০ সালে তার প্রথম ইংরেজি গান মুক্তি পেলেও এর মধ্যে তার অভিজ্ঞতা বেশ ঘটনাবহুল। তিনি বলেন, ‘আমি যখন গান শুরু করি, তখনকার থেকে বর্তমানের অবস্থা বেশ ভালো। তবে ভারতীয় বাজারে মৌলিক ইংরেজি গান আহামরি ভালো অবস্থানে নেই। যদিও আমি বুঝি আঞ্চলিক সংগীতের তাৎপর্য। কিন্তু ভারতীয় ইংরেজি গান প্রত্যাশিত শ্রোতা খুঁজে পাচ্ছে না।’

নিজের দাবির পক্ষে কিছু উদাহরণও তুলে ধরেন ৩৮ বছর বয়সী এ তারকা। তিনি ‘দেশী গার্ল’ গানের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘হিন্দি ও তামিল গানের মধ্যে ইংরেজি লিরিক ব্যবহারের উদাহরণ ভুরি ভুরি। সে ব্যাপারে কেউ প্রশ্নও তুলছে না। এটা আমার কাছে সত্যিই দুর্বোধ্য। কারণ যখন লিরিক মিশিয়ে শোনা হচ্ছে, তখন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু যখন ইংরেজি গান চলে আসে, তখন বিপরীত দৃশ্য। এটা বেশ অবাক করার মতো।’ 

শ্রুতি জানান, তিনি ইংরেজি গান শুরু করার সময় মানুষ বলত, এটা তার ভুল সিদ্ধান্ত। কিন্তু এখন মানুষ আগের মতো রক্ষণশীল নেই। শ্রুতি বলেন, ‘গত বছর আমি ‘‘মনস্টার মেশিন’’ নামে একটা ইংরেজি গান প্রকাশ করি। একই বছরে তামিল ভাষায় ‘‘ইনিমেল’’ প্রকাশ করা হয়। সংগীতের দুনিয়ায় দুটিই স্বতন্ত্র। কিন্তু দেখা গেছে, ইংরেজি গানের চেয়ে তামিল গানের শ্রোতা অনেক বেশি। আমি জানি, হিন্দি ও তামিল গানের রিচ বেশি। তার পরও ইংরেজি গান তৈরি করি ভালোবাসার বশে। ওই ভাষায়ই গান লিখি, যদিও বেশ কয়েকটি ভাষায় গান গাইতে পারি। আমার গানে আমি স্বাভাবিকভাবেই সে অনুপ্রেরণা ধরে রাখতে চাই, বিশেষ করে যে উপাদানগুলোর জন্য আমাকে ভারতীয় ইংরেজি গানের শিল্পী বলা যেতে পারে।’ 

ইংরেজি গান বানাতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শ্রুতি ছিলেন স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘দিন শেষে শ্রোতাদের পছন্দ ও অপছন্দ সংগীত তৈরি ও এগিয়ে নেয়াকে প্রভাবিত করে। যদি শ্রোতারা আরো বেশি ইংরেজি গান শোনে, তারা যদি সহযোগিতা করে ও উৎসাহ দেয়, তাহলে ইংরেজি গানের ভবিষ্যৎ বর্তমান সময় থেকে অনেক উন্নত হবে।’ 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন