মাদারীপুরে ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইটভাটা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, মাদারীপুর

কালকিনী উপজেলার ফাঁসিয়াতলা বাজারের পাশে স্থাপন করা হয়েছে ইটভাটা ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কৃষিজমি বা এর আশপাশে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে সরকার। অথচ মাদারীপুরের কালকিনী উপজেলার ফাঁসিয়াতলা বাজার ও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। অর্ণিমা কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ব্রিকস ফিল্ড নামের ইটভাটা প্রায় আড়াই বছর বন্ধ ছিল। পরিবেশের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স না থাকলেও নতুন করে চালু করা হয়েছে ইটভাটা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইটভাটার চিমনি থেকে বের হওয়া ধোঁয়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী, কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক কিলোমিটার, বনাঞ্চল থেকে দুই কিলোমিটার এবং ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক থেকে অন্তত আধা কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। তবে এ আইন লঙ্ঘন করে কালকিনী উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের ফাঁসিয়াতলা এলাকায় এমওবি ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। ইট তৈরির জন্য আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে বালি উত্তলনেরও অভিযোগ রয়েছে।

তবে ইটভাটার মালিক উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার ইটভাটা বৈধ, অনুমোদনও রয়েছে। দুই বছরের বেশি সময় বন্ধ ছিল। এখন নতুন করে ইট পোড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি। পরিবেশসহ সব বিভাগে আমার লাইসেন্স নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছি। সবাই এভাবেই ইটভাটা চালায়। আমার ইটভাটা মানুষের কোনো ক্ষতি করছে না।’

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ বলেন, ‘আমি জানতাম এমওবি নামের ইটভাটাটি বন্ধ। এটি চালু হয়েছে কবে তা আমার জানা নেই। যদি অনুমতি ছাড়া ইটভাটা চালু করে, তাহলে বন্ধ করা মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তর ফরিদপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. সাঈদ আনোয়ার বলেন, ‘বাজার বা লোকালয়ে গড়ে ওঠা কোনো ইটভাটা পরিবেশের ছাড়পত্র পাবে না। যদি কোনো ইটভাটা পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া পরিচালিত হয়, তাহলে সেটা অবৈধ। এসব ইটভাটা বন্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। অচিরেই এমওবি ইটভাটা বন্ধে অভিযান চালানো হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন