ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন

মার্কিন গোয়েন্দাদের বিশ্বাস নাভালনিকে হত্যার আদেশ দেননি পুতিন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভ্লাদিমির পুতিন, অ্যালেক্সি নাভালনি

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা মনে করে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার কঠোর সমালোচক অ্যালেক্সি নাভালনিকে হত্যার নির্দেশ দেননি। গতকাল ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।  

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান ৪৭ বছর বয়সী নাভালনি। এ ঘটনার পর নাভালনির অনুসারীরা অভিযোগ তোলে, পুতিনের নির্দেশেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর স্বপক্ষে প্রমাণ হাজিরের ঘোষণাও দেয় তারা। তবে ক্রেমলিন বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। 

গত মাসে অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছিলেন পুতিন। তিনি সে সময় মন্তব্য করেছিলেন, নাভালনি যদি আর রাশিয়ায় থাকতে না চাইত, তাহলে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে কারাবন্দি নাভালনিকে পশ্চিমের হাতে তুলে দিতেও তিনি রাজি ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ভ্লাদিমির পুতিন সম্ভবত ফেব্রুয়ারিতে অ্যালেক্সি নাভালনিকে হত্যার নির্দেশ দেননি। তবে মার্কিন গোয়েন্দারা অ্যালেক্সি নাভালনির মৃত্যুর জন্য রুশ নেতাকে সামগ্রিক দায় থেকে অব্যাহতি দেয়নি। 

যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদরা বছরের পর বছর ধরে পুতিন প্রশাসনের দমনের শিকার হচ্ছেন। এর আগে নাভালনিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ২০২০ সালে তাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে ক্রেমলিন ২০২০ সালের বিষ প্রয়োগ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেনি। 

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটি দেখেছি। এটি আমাদের কাছে এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন মনে হয়নি, যেটা বিশেষ মনোযোগ পাওয়ার দাবি রাখে।’

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনটি আলাদাভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। তারা প্রতিবেদনের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি মার্কিন গোয়েন্দাদের মধ্যে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দারা নানা ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে পুতিনের ভূমিকার বিষয়ে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে বলেও ওয়াল স্ট্রিটের জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন