গাজার দুই হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি : রয়টার্স

গাজার নাসের ও আল শিফা হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শেষে এ কবরের সন্ধান পাওয়া যায়। খবর বিবিসি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ভলকার তুর্ক এসব মৃত্যুর স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা কবর খুঁড়ে প্রায় ৩০০ মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এটি স্পষ্ট নয় যে তারা কখন মারা গেছেন অথবা তাদের কখন সমাহিত করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, মরদেহ সমাহিত করার অভিযোগ ভিত্তিহীন। কিন্তু তারা বলেছে খান ইউনিস শহরের হাসপাতালে ফেব্রুয়ারি মাসে দুই সপ্তাহ অভিযান চালানোর সময় তারা ফিলিস্তিনিদের সমাহিত করা মরদেহ যাচাই করে দেখেছে। যেখানে গোয়েন্দা সংস্থা জিম্মিদের পাওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করেছিল।

মুক্তি পাওয়া দশজন জিম্মি বলেছেন যে বন্দি থাকা অবস্থায় তাদের দীর্ঘ সময় নাসের হাসপাতালে রাখা হয়েছিল।

নাসের হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাদের জোরপূর্বক হাসপাতাল প্রাঙ্গণে মরদেহ সমাহিত করতে বাধ্য করা হয়েছে। কারণ সংঘর্ষের কারণে তারা কবরস্থানে যেতে পারছিলেন না।

গত বছরের নভেম্বরে আল শেফা হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রথম অভিযানের পূর্বে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে তারা যুদ্ধের সময় গাজার হাসপাতালগুলোতে অভিযান চালিয়েছে, কারণ হামাস যোদ্ধারা সেখান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। যদিও এ দাবি হামাস ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সশস্ত্র হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত অতিক্রম করে হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা ও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসার পর যুদ্ধের সূচনা হয়।

হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ৩৪ হাজার ১৮০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন