কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কক্সবাজার

বণিক বার্তার ছবি।

কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্রসৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন। ছয় ফুট লম্বা ডলফিনটির ওজন প্রায় ১২০ কেজি। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে মৃত ডলফিনটি সৈকতে ভেসে আসে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের হিমছড়ি বিচে একটি মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে।ডলফিনের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে পেছনের পাখনায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আমরা মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করছি। বন বিভাগকে খবর দেয়া হয়েছে। তাদের জিম্মায় ডলফিনটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।

এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি সোনারপাড়া ও পাটুয়ারটেক সৈকতে মৃত দুটো ডলফিন ভেসে আসে। একই দিন শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে একটি পরপইসের মৃতদেহ ভেসে আসে। পরদিন হিমছড়ি সৈকতে আরো একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছিল।

২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে স্তন্যপায়ী ডলফিন, পরপইস ও সামুদ্রিক কচ্ছপ সংরক্ষিত প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত। এগুলো শিকার করা, খাওয়া, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় দণ্ডনীয় অপরাধ।

চলতি প্রজনন মৌসুমে কক্সবাজার শহর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও সোনাদিয়া সৈকতে অন্তত ৮৫টি মরা সামুদ্রিক কচ্ছপ ভেসে আসে বলে জানান সমুদ্র বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কী কারণে হঠাৎ করে ডলফিন, পরপরইসসহ সংরক্ষিত প্রাণী মারা যাচ্ছে তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাণীগুলোর বাসস্থলে কোনো বড় ধরনের সমস্যা হয়েছে কি না, তাও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন